ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিটিসিএল অফিসে গ্রাহক বিড়ম্বনার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮:৩৭ এএম, ০৩ আগস্ট ২০১৫

রাজশাহীর তানোরে বিটিসিএল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনুপস্থিতির কারণে নিয়মিত খোলা থাকছে না অফিসটি। তবে দিনে বন্ধ থাকলেও ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে রাতে পাহারা দেয়া হচ্ছে। ফলে গ্রাহকদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে তানোর উপজেলা সদরে টেলিফোন (বিটিএনটি বোর্ড) অফিস স্থাপিত হয়। অফিসটি স্থাপনের পর এ অঞ্চলের মানুষ দূর-দূরান্তে পিসিওর মাধ্যমে টেলিফোনে কথা বার্তার আদান-প্রদান করতেন। পরে ২০০৪ সালের দিকে ডিজিটালের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এরই মধ্যে উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় ২০০৬ সালের দিকে ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ (বিটিসিএল) অফিস স্থাপন করা হয়। এ দুটি ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ (বিটিসিএল) অফিসের আওতায় ১৮০ জন গ্রাহক রয়েছেন।

সেই সময়ে তানোর বিটিসিএল অফিসে বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে এ অফিসটিতে একজন সিনিয়র টেলিফোন অপারেটর ও একজন ওয়াকচার্জ পদের কর্মচারীর নিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে অপারেটর পদের কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে মাস শেষে বেতন তুলছেন। ওয়াকচার্জ পদের কর্মচারী শহিদুল হক গত এক সপ্তাহ ধরে বাবার চিকিৎসার কাজে রাজশাহী নগরীতে থাকছেন। এ কারণে অফিসটি গত মাসের ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত খোলা হয়নি। কিন্তু রাতে শহিদুল হকের এক বন্ধুকে দিয়ে অফিসটি পাহারা দেয়া হচ্ছে।

শুধু তানোর বিটিসিএল অফিস নয় উপজেলার মুন্ডুমালা বিটিসিএল অফিসে ওয়ার্কচার্জ পদের একজন মাত্র কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনিও নিয়মিত অফিসে থাকছেন না। ফলে প্রায় দিন অফিসটি বন্ধ থাকছে। উপজেলার দুটি বিটিসিএল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফলতির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা।

এ নিয়ে কালিগঞ্জহাট শাখার কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার পিয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তার ব্যাংকের টেলিফোন সংযোগ প্রায় দুই মাস ধরে বিকল রয়েছে। তানোর বিটিসিএল অফিসে অভিযোগ দেয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সর্বশেষ গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি অফিসে যোগযোগ করার জন্য যান। কিন্তু অফিসের মেইন গেটে তালা ঝুলানো দেখে অবাক হন। পরে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে পরে দেখা করার জন্য বলা হয়। শুধু ব্যাংক ম্যানেজার নয় তার মতো একই কথা জানান মোবারক হাজীসহ অর্ধশতাধিক গ্রাহক।

এ ব্যাপারে অফিসের ওয়ার্কচার্জ পদের কর্মচারী শহিদুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, তার বাবার অসুস্থতার কারণে তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে অফিসে থাকতে পারছেন না। তবে মোবাইল ফোনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি নেয়া হয়েছে।

অপারেটর খাইরুল ইসলাম জানান, অফিসে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নেই। এছাড়া তিনি অফিসের একটি ট্রেনিং করতে শহরে থাকছেন। এ কারণে শহিদুলকে দিয়ে অফিস চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিটিসিএল (টেলিকম) অফিসের বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।

শাহরিয়ার অনতু/এসএস/পিআর