আম চাষিদের মাথায় হাত
‘আমার বাগানে এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে আমের দাম নেই। কপালে যে কী আছে?’ নিজের দুঃশ্চিন্তার কথা এভাবেই বলছিলেন হরিণাকুন্ড উপজেলার আম চাষি আব্দুল কালাম।
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কোটচাঁদপুর আমের পাইকারী হাট ঘুরে জানা যায়, গোপাল ভোগ ৭শ থেকে ৮শ টাকা, হিম সাগর এক হাজার টাকা থেকে ১১শ টাকা ও ল্যাংড়া ১১শ টাকা থেকে ১২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি আম প্রতি মণ ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফর সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলা, হরিণাকুন্ড, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও মহেশপুরে এ বছর ২ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আমের ভালো ফলন হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, দেশি জাতের আম শেষের পথে। দেশি জাতের আম এবার পাইকারি ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা প্রতি কেজি আম বিক্রি হয় ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা দরে। হিম সাগর আমের মৌসুম চলছে। পাইকারি প্রতি মণ ১২শ টাকা থেকে ১৪শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি ৩০/৩৫ টাকা। ল্যাংড়া আম সবে উঠতে শুরু করেছে। দাম হিমসাগরের চেয়ে কম। প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মণ এক হাজার টাকা থেকে ১২শ টাকা। বাগানে আম্রপালিও পাকতে শুরু করেছে। পাইকারি প্রতি কেজি ২০-২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি মণ ৬শ টাকা থেকে ৮৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের আম চাষি আতাউর রহমান বাবলু জানান, আমের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক কম। বাগান মালিকদের তেমন লাভ থাকবে না। তার নিজের ১৫ বিঘা আমের বাগান আছে। আম ভালো ধরেছে। পাইকারি হিমসাগার প্রতি কেজি ৩০/৩৫ টাকা, ল্যাংড়া ২৫/৩০ টাকা ও আম্রপালি ২০/ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জি এম আব্দুর রউফ জানান, ঈদের পরপরই আমের চাহিদা বাড়বে। তবে এখন বাজারে আমের দাম অত্যন্ত কম। অনেক বাগান মালিক আম পাড়ছেন না। তিনি কৃষকদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন।
আহমেদ নাসিম আনসারী/আরএআর/জেআইএম