বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে মনু ও ধলাই
দু’দিনের টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে দ্রুত বাড়ছে মৌলভীবাজারের মনু এবং ধলাই নদীর পানি। নদীর প্রতিরক্ষা বাধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আউশ ফসল ও সবজি ক্ষেতসহ ৫ ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মনু নদীর পানি বিপদসীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার এবং ধলাই নদীর পানি ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে প্রতিরক্ষা বাঁধের অন্তত ২০টি এলাকা।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ধলাইনদীর কমলগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, সানন্দপুর, কেওয়ালীঘাট, ঘোড়ামারা এবং বাদেওবাহাটা নামক ৫টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৩টি ইউনিয়ন। আকস্মিক বন্যায় ঈদের আগে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, মুন্সিগঞ্জ ও রহিমপুর ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ।
মুন্সিবাজার ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের কৃষক আকবর মিয়া জানান, তার প্রায় ৫ একর আউস ফসল ডুবে গেছে।
এদিকে জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ও টিলাগাও ইউনিয়নে মনু নদীর ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে টিলাগাও, বাগাজুরা,তেলগাও চাতলাপুরসহ ৫টি গ্রাম।
কুলাউড়ার হাজীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু জানান, মনু নদী বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে। লাগাতার ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি বাড়ছে। মাতাবপুর, মাদানগর, চক রণচাপ, হাসিমপুর, বাড়ইগাও ও মন্দিরাসহ ৬/৭ টি এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
চকরনচাপ বাড়ইগাও ও মাদানগরে এলাকাবাসী বাঁধ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া সাধনপুর, কাউকাপন, বাশউরী ও নোয়াগাও এলাকার নদীতীরবর্তী পরিবারগুলোর ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জাগো নিউজকে জানান, বিপদসীমার ওপর দিয়ে মনু এবং ধলাই নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরো বাড়বে কারণ ভারতের উজানে বৃষ্টি হচ্ছে।
রিপন দে/এফএ/এমএস