মেয়র মান্নান আরেক মামলায় গ্রেফতার
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নানকে আরো একটি মামলায় ফের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রোববার গাজীপুর জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গাজীপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অধ্যাপক মান্নানকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য পুলিশ গত বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করে। আর এরই প্রেক্ষিতে রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রেহানা আক্তারের আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ আবেদনে জানায়, `গণতন্ত্র কথিত হত্যা দিবস` উপলক্ষ্যে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিএনপি ও জামায়াতের ৬০/৭০ নেতাকর্মী ৪ জানুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ করে। ওই ঘটনায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/২০ জনকে আসামি করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আর্শাদ মিয়া বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, ঘটনার সময় স্থানীয়রা মান্নানসহ অন্য আসামিদের দৌঁড়ে পালাতে দেখেছেন। দায়েরকৃত ওই মামলায় সাক্ষীরা অধ্যাপক এমএ মান্নান ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। অধ্যাপক এমএ মান্নান জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি-জামায়াত শিবির ঘোষিত বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অর্থের যোগানদাতা এবং নির্দেশকারী ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণকারী।
মামলাটি তদন্ত করেন জয়দেবপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক। আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন। মেয়র মান্নান ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে জোরালো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
মেয়র মান্নানের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, নতুন এ মামলাটিসহ এ পর্যন্ত অধ্যাপক এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে মোট ১০ টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় মেয়র মান্নানকে। পাঁচটি মামলায় কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এর মধ্যে দু’টি মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
অধ্যাপক এম এ মান্নানের অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে ভারপ্রাপ্ত মেযর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ৮ মার্চ থেকে গাসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কিরণ।
আমিনুল ইসলাম/আরআইপি