‘দেরিতে হলেও রাজনীতি শিখে ফেলছি’
চাঁদাবাজির মামলায় এখন কারাগারে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রনির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ওসমান গণির আদালত।
সময়ের আলোচিত-সমালোচিত এই ছাত্রনেতা কারাগারে যাওয়ার আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে লিখেছেন-
‘রাজনীতিতে প্রকাশ্যে যাকে কাইট্টা ফেলমু, চিল্লা ফেলমু বলবেন, গোপনে তার সাথেই ধান্দার যে কোনো একটা খাতে সংযোগ রাখবেন। ফলশ্রুতিতে শত বদমায়েশি করলেও আপনার কোন শত্রু থাকবে না। দেরিতে হলেও রাজনীতি শিখে ফেলছি। তোমরাও শিখে নাও।’
চলতি বছরের ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানকে মারধর করেন ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় অধ্যক্ষ জাহেদ খান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় রনির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
পরে গত ৩ এপ্রিল রনির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন কলেজ শিক্ষক জাহেদ খান। মামলাটিতে হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন রনি। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অধ্যক্ষকে পিটিয়ে সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারের অফিস কক্ষে গিয়ে তার মালিককে পিটিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের এই নেতা।
ওই ঘটনাতেও কোচিং মালিক রাশেদ মিয়া পাঁচলাইশ থানায় রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। কোচিং ব্যবসায়ীকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি চান আলোচিত-সমালোচিত নেতা নুরুল আজিম রনি।
তবে রনি দাবি করেন, ইউনিএইড নামে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারটিতে তারও মালিকানা ছিল। কিন্তু পাওনা টাকা দিতে গড়িমসি করেন পরিচালক রাশেদ। এছাড়া চকবাজার থানার সাবেক ওসি আজিজ আহমেদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে রাশেদের বিরোধ হলে দুটি চেকের মাধ্যমে তিনি রাশেদকে সাড়ে নয় লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন বলে রনি জানিয়েছিলেন।
আবু আজাদ/জেএইচ/এমএস