ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জ্যোতির পর এবার মেহেদি ভুল চিকিৎসার শিকার

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ০৩ জুন ২০১৮

ফরিদপুরে শিশু জ্যোতির পর এবার এক বাক প্রতিবন্ধী যুবক চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডা. প্রভাত রঞ্জন প্রামাণিকের ভুল চিকিৎসার শিকার বাক প্রতিবন্ধী ওই যুবকের নাম মেহেদি হাসান (২০)। ফরিদপুর পৌর সদরের রঘুনন্দনপুর এলাকার জামালউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে মেহেদি হাসান।

জানা যায়, মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় চিকিৎসক ডা. প্রভাত রঞ্জন প্রামাণিকের কাছে নিয়ে যান। তিনি মেহেদিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। সেই অনুযায়ী মেহেদিকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। তবে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে শুক্রবার মেহেদির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হতে থাকে। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে শনিবার রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেহেদির পরিবারের অভিযোগ, ওষুধ খাওয়ানোর পর শুক্রবার সকালে মেহেদির শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচণ্ড ক্ষত দেখা যায় এবং আস্তে আস্তে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে শংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক ড. রাধেশ্যাম সাহা রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী পরিবারের সদস্যরা তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করেন। মেহেদির শরীরের ৯০ ভাগেরই বেশি চামড়া পুড়ে গেছে।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে আমরা রোগীকে সুস্থ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাই তাকে সুস্থ করতে হলে বেশ বেগ পেতে হবে।

মেহেদির বাবা জামালউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ডা. প্রভাত রঞ্জন প্রামাণিক সারাদিন কমপক্ষে একশ রোগী দেখেন। তার অধিক ব্যস্ততার কারণেই তিনি আমার ছেলেকে ভুল ওষুধ লিখে দিয়েছেন। যার জন্য এখন আমার ছেলের এই অবস্থা। আমি এর বিচার চাই।

স্থানীয়রা জানায়, ডা. প্রভাত রঞ্জন একজন এমবিবিএস ডাক্তার। তবে তিনি ইউরোলজি, নিউরোলজি, নেফ্রোলোজি, ডেন্টালসহ সকল ধরনের রোগী নিজস্ব চেম্বারে দেখেন। যেন-তেনভাবে চিকিৎসা করার জন্য মেহেদিকে খেসারত দিতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে ডা. প্রভাত রঞ্জন প্রামাণিককে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার চিকিৎসায় কোনও প্রকার ত্রুটি নেই। রোগীকে সঠিক চিকিৎসাই দিয়েছি। রোগীর যে সমস্যা হয়েছে সেটা ওষুধের সমস্যার কারণে হয়েছে। চিকিৎসার কারণে নয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ফরিদপুরের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এসি পালের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে সালথার সাড়ে তিন বছরের শিশু জ্যোতির জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সহায়তায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

এমএএস/আরআইপি

আরও পড়ুন