ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক ডিসি অাব্দুল অাউয়ালের কথা রাখলেন বিপু
তিনদিনের একটি শিশুকে রাজশাহীতে কুড়িয়ে পেয়ে এলাকাবাসী ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে (বালিকা) রেখে যায়। শিশুটির নাম দেয়া হয় সুমনা। শিশু পরিবারে থেকেই যৌবনে পদার্পণ করে সুমনা। বুধবার বিকেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এতিম এই মেয়েটির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলা সরকারি শিশু পরিবারে সুমনার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর শবদলহাট ফজিলাতুন নেছা সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) প্রাক্তন নিবাসী এবং বর্তমানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী বিপু ইসলাম।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, জেলা প্রশাসক মো. আখতারুজ্জামান, পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেক কুরাইশীসহ শহরের গণ্যমান্য অসংখ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সুমনা ও বিপুর বিয়েতে চার লাখ এক টাকা দেন মহর ধার্য করা হয়। অনুষ্ঠানে বর ও কনেপক্ষের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দীক ও উপ-তত্ত্বাবধায়ক সাইয়েদা সুলতানা। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশু পরিবারের সবাই আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানায়।
কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসন অফিসে চাকরির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির হয় সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) ছাত্র বিপু। তৎকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল চাকরির বিনিময়ে বিপুকে একটি এতিম মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। বিপু জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। সে সময় বিপু ও সুমনার বয়স কম থাকায় বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি।
রবিউল এহসান রিপন/আরএআর/পিআর