চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ৯০ কোটি টাকা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রিজি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘রয়েল নিটিং প্রাইভেট লিমিটেড’ পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৯০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফলে ঈদের আগে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিকের বেতন-ভাতা কীভাবে প্রদান করা হবে-তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পোশাক কারখানাটির বড় অংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে উপজেলার ছোট কুমিরার মগপুকুর এলাকার পোশাক কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মহানগরসহ পাঁচটি ইউনিটের নয়টি গাড়ি ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বাতাসের বেগ আগুন নেভানোর কাজটি কঠিন করে তোলে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুনে রয়েল নিটিং প্রাইভেট লিমিটেড নামের পোশাক কারখানাটির অনেকাংশই পুড়ে গেছে।’
ক্ষয়ক্ষতির হিসাব জানিয়ে রয়েল নিটিং গার্মেন্টস-এর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. শামছুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে কারখানার প্রায় সব যন্ত্রপাতি পুড়ে বিকল হয়ে গেছে। সঙ্গে পুড়ে গেছে উৎপাদিত পোশাকের পুরোটাই। এর বড় ক্ষতি পরিমাপ করা সময়সাপেক্ষ। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৯০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।’
এমন ক্ষয়ক্ষতি ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতার বিষয়ে সমস্যা হবে কি না, জাগো নিউজের এমন প্রশ্নের জবাবে শামছুল আলম বলেন, ‘এ অগ্নিকাণ্ড আমাদের যেমন ক্ষতি করেছে; তেমনি এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব শ্রমিকের ক্ষতি করেছে-যে ক্ষতি পোষানো এক প্রকার অসম্ভব। তবে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, যেন অন্তত ঈদের আগে আমরা তাদের পাওনা মিটিয়ে দিতে পারি।’
আবু আজাদ/এসআর/এমএস