নড়াইলবাসীর মুখে মুখে এখন মাশরাফি
বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাশরাফি বিন মুর্তজা নড়াইল থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। মঙ্গলবার ঢাকায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন ইঙ্গিত দেয়ায় নড়াইলের বিভিন্ন প্রান্তে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি এখন মানুষের মুখে মুখে। এ ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে।
নড়াইল সদর উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি শহিদুল হক মোল্যা মাশরাফিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মাশরাফি মনোনয়ন পেলে তিনি এমপি এবং মন্ত্রী হবেন। ফলে অবহেলিত নড়াইলের সার্বিক উন্নয়ন সংঘটিত হবে।
নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নড়াইল সম্মিলতি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু বলেন, মাশরাফি একজন সৃজনশীল ও ভালো মানুষ। তিনি বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের উপকার করে থাকেন, যা অনেকেই জানে না। তিনি যদি মনোনয়ন পান তাহলে আশা করি জেলার সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
নড়াইল পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, মাশরাফি নড়াইলের গর্বিত সন্তান। আওয়ামী লীগ যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে জান-প্রাণ দিয়ে কাজ করব এবং জয় ছিনিয়ে আনব।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, নড়াইলের দু’টি আসনের যে কোনো একটি থেকে আমি মনোনয়ন পাব বলে আশাবাদী। মাশরাফির মনোনয়নের ব্যাপারে বলেন, এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।
এ ব্যপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি তাকে মনোনয়ন দেন তাহলে মাশরাফির না বলার সুযোগ নেই।
নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম অনিক বলেন, যদি মাশরাফি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পান তাহলে ফাউন্ডেশন এটাকে সানন্দে গ্রহণ করবে এবং পাশে থাকবে। কারণ তিনি এমপি হলে এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল ও সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, মাশরাফি অনেক আগে থেকে বিভিন্ন মানবিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাশরাফির নেতৃত্বে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন নামে সম্পূর্ণ সেচ্ছসেবী সংগঠন যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন সাধারণ ও দুস্থ মানুষকে আর্থিক সাহায্য, স্বাস্থ সেবা, শিক্ষা, আইসিটি, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, পরিবেশ, পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ের সার্বিব উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
হাফিজুল নিলু/এফএ/এমএস