মেডিকেল ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় মামলা : শ্বশুর আটক
কুমিল্লায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালিয়ে উম্মে আয়মন সুলতানা স্বর্ণা (২৪) নামের মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় শনিবার নিহতের বাবা বাদী হয়ে স্বামী-শ্বশুরসহ ৬ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের শ্বশুরকে আটক করেছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শনিবার কুমেক হাসপাতাল মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শশীদল গ্রামের ডা. আবদুল খালেকের মেয়ে কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্রী উম্মে আয়মন সুলতানা স্বর্ণার (২৪) সঙ্গে ১ বছর আগে একই গ্রামের নূরুল ইসলাম ওরফে নান্নু মিয়ার ছেলে জামিল হোসেন ইমনের প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত।
এদিকে, শুক্রবার রাতে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য স্বর্ণাকে হত্যা করে বিছানার ওপর মরদেহ ফেলে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী নান্নু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে স্বর্ণার বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দিলে থানার এসআই ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে ও আটক নান্নু মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় নিহত স্বর্ণার বাবা বাদী হয়ে তার স্বামী ইমনসহ তার বাবা, দুই ভাই জাকির হোসেন সুমন ও জাহিদ হোসেন সুজন, দুই ভাবী ফাতেমা বেগম ও তানিয়া আক্তারসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহতের স্বামীসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মো. কামাল উদ্দিন/এসএস/এমআরআই