কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত
কুমিল্লায় মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
রোববার দিবাগত মধ্যরাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা সদরের অদূরে পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা এলাকায় এ দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- এনামুল হক ভূইয়া ওরফে দোলন (৩৫) এবং নুরু (৫৫)। এর মধ্যে দোলন পুলিশের ও নুরু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেবিদ্বারে নিহত দোলন উপজেলার ভিংলাবাড়ি (মির্জানগর) গ্রামের মৃত আবদুল্লা ভূইয়ার ছেলে এবং সদর দক্ষিণে নিহত নুরু উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে বলে জানা গেছে।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে মাদক উদ্ধার করতে সহকারী পুলিশ সুপার (দেবিদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেল) শেখ মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে তিনিসহ (ওসি) পুলিশের একটি দল উপজেলার পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এলাকায় গোমতী বাঁধে অবস্থান নেন। পরে সেখানে মাদক ব্যবসায়ী দোলনসহ তার সহযোগীরা পৌঁছলে তাদের আটকের চেষ্টা করে পুলিশ। এসময় দোলন ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় ২৩ রাউন্ড শাটগানের গুলি চালায়। এতে মাদক ব্যবসায়ী দোলন গুলিবিব্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, ওই অভিযানের সময় থানার এসআই যুবরাজ বিশ্বাস, পুুলিশ সদস্য গনেশ, মনির ও রাজ্জাক আহত হয়েছেন।
নিহত দোলনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার ও মুরাদনগর থানায় ১২টি মাদকের মামলা রয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।
অপরদিকে সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মাদক বিরোধী অভিযানকালে রাত দেড়টার দিকে তিনি তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী গলিয়ারা এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় মাদক ব্যবসায়ী নুরু ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় গুলি চালালে ঘটনাস্থলে গুলিবিব্ধ হয়ে নুরু গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধারের পর কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় থানার ওসি (তদন্ত) কমল, এসআই খাদেমুল বাহারসহ আরও ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে।
ওসি আরও জানান, নিহত নুরু স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে ১১টি মাদক ও ১টি অস্ত্র মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লায় গত এক সপ্তাহে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দশজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কোতয়ালীতে তিনজন, ব্রাহ্মণপাড়ায় দুইজন, সদর দক্ষিণে দুইজন, চৌদ্দগ্রামে একজন, বুড়িচংয়ে একজন এবং দেবিদ্বারে একজন নিহত হন।
মো.কামাল উদ্দিন/এমবিআর