৮০ হাজার টাকায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, অতঃপর...
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে রাজশাহীতে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে তুশমি শেখ নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও আছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। তুশমি রাজশাহীর মোহনপুরের শাকিলা খাতুন নামে এক পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন। এ ঘটনায় শাকিলার স্বামী আলমগীর হোসেনকেও আটক করা হয়েছে। এছাড়া তুশমি ও আলমগীরের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে দেয়ার অভিযোগে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন- সারোয়ার হোসেন ও সাইদুর রহমান। তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
অন্যদিকে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে সালেহ আহমেদ নামে আরেক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সালেহ আহমেদ নগরীর সাধুর মোড় এলাকার বাসিন্দা।
রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এই পাঁচজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রাশিদুল ইসলাম জানান, পলিটেকনিক কেন্দ্রে আটক পরীক্ষার্থীর কাছে মুঠোফোন ছিল। ওই মুঠোফোনে উত্তরপত্রও ছিল। কক্ষ পরিদর্শক সেটি দেখে তাকে আটকে রাখেন। পরে তাকে ডিবি অফিসে নেয়া হয়। অন্যদিকে সিটি কলেজ কেন্দ্রে শাকিলা খাতুন নামে এক পরীক্ষার্থীর ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন তুশমি শেখ। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাকিলার স্বামী আলমগীর এবং মধ্যস্থতাকারী সাইদুর ও সারোয়ারকে আটক করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুশমি জানিয়েছেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে শাকিলার হয়ে তিনি পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন। সাইদুর ও সারোয়ার তাকে শাকিলার স্বামী আলমগীরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। পরীক্ষা দেয়ার জন্য তাকে আগাম ৮০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল। বাকি টাকা দেয়ার কথা ছিল পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর।
ডিবির পরিদর্শক রাশিদুল ইসলাম জানান, আটক পাঁচজনকে ডিবি অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমএস