জয়পুরহাটে মানবপাচারকারী আটক : ৯ যুবক উদ্ধার
জয়পুরহাট শহরের সৌরভ আবাসিক হোটেল থেকে নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা ৯ যুবককে উদ্ধারসহ লাভলু নামে এক মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার সকাল ১১টায় ডিবি কার্যালয়ে জয়পুরহাট ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান।
ডিবি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আনা ৯ যুবককে জয়পুরহাট সীমান্ত দিয়ে ভারত হয়ে নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে জয়পুরহাট শহরের ওই আবাসিক হোটেলে রাখা হয়েছে। এ গোপন সংবাদে শুক্রবার রাত ১১টায় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ হোটেলটি ঘেরাও করে। পরে হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে ৯ যুবককে উদ্ধার করা হয়।
সেই সঙ্গে জয়পুরহাট সদরের চক দাদরা গ্রামের সিরাজ আকন্দের ছেলে মানর পাচারকারী চক্রের সদস্য লাভলু মিয়াকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
উদ্ধারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাম ডাকুয়া গ্রামের মৃত. কফিল উদ্দীনের ছেলে জাকারিয়া (২৭), একই উপজেলার মৃত. বক্তার হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮), বাদশা মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া, একই উপজেলার পশ্চিম কালু বেলকা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন, লবিয়া গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (২০), একই গ্রামের মৃত. আব্দুল আলীমের ছেলে হানিফ (৩৫), মৃত শহিদুল্লার ছেলে আল আমিন (২৩) ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁন্দের কান্দি গ্রামের আ. লতিফের ছেলে রমজান আলী (২০) ও একই জেলার শিবপুর উপজেলার ধনিয়া গ্রামের নজি মদ্দীন।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা এসব নিরীহ প্রকৃতির যুবকদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজ দেওয়া হবে বলে লোভ দেখিয়ে নেপালে পাচারের চেষ্টা করছিল। পাচারকারী আরো কতজনকে এ সীমান্ত পথে পাচার করেছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ চক্রের অন্যান্য পাচারকারীদেরও শীঘ্রই গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এমজেড/এমএস