গুদাম ঘরের মেঝে খুঁড়ে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় নিখোঁজের আড়াই মাস পর এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারের একটি গুদাম ঘরের মাটি খুঁড়ে মেহেদী হাসান বাবুর (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাবু ওই এলাকার প্রবাসী শাহজাহান মিয়ার ছেলে। স্থানীয় পলাশীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিল সে।
এ ঘটনায় তুষার ও আলামিন নামে বাবুর দুই বন্ধুকে আটকের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস।
এসআই পরিমল বলেন, তুষার দীর্ঘদিন ধরে একটি মেয়েকে প্রেমের প্রস্তার দিয়ে আসছিল। তবে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় তুষার তাকে ‘উত্ত্যক্ত’ করতে শুরু করে। পরে বিষয়টি বাবু জানতে পারলে সে তুষারকে বাধা দেয়। এর জেরে গত ৬ মার্চ দুপুরে বাবুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তুষার। পরে কেশরগঞ্জ বাজারের একটি গুদাম ঘরে নিয়ে আলামিনের সহায়তায় বাবুর ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। পরে মরদেহ ওই ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুঁতে রাখে তারা।
এদিকে বাবুর নিখোঁজের ঘটনায় তার মা মিনারা খাতুন বাদী হয়ে তুষারের নামে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে তুষার ও আলামিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে।
এফএ/আরআইপি