ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অতিবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণের কৃষি

প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ৩১ জুলাই ২০১৫

টানা সাত দিনের বৃষ্টিতে বৃহত্তর খুলনার ১৪ উপজেলায় কৃষি অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুই হাজার হেক্টর জমির কৃষিপণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন বীজতলা পানির নিচে, তিল, আউশ, পান ও শাক-সবজি পঁচতে শুরু করেছে। এসব উপজেলার ১০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্তৃর্ণ এলাকায় পানি নিষ্কাশনের সুযোগ নেই।

আমন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে উচু জমিতে নাবী জাতের বীজতলা তৈরিতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ৭ থেকে ১১ জুলাই ২৭৭ মি.মি. এবং ২০-২৬ জুলাই ১৬৯ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। ফলে খুলনার দাকোপ উপজেলার ৩৩ পোল্ডার ও বাগেরহাটের শরণখোলার ৩৫/১ পোল্ডার দিয়ে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হচ্ছে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে খুলনার দাকোপ, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা ও রূপসা, সাতক্ষীরার সদর, কলারোয়া ও তালা, বাগেরহাটের সদর, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, মোড়েলগঞ্জ, চিতলমারী ও শরণখোলা। আমন বীজতলা পানিতে নিমজ্জিতের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে আউশ, তিল, পাট, পানের বরজ এবং নানা জাতের শাক-সবজি।

সূত্র মতে, খুলনায় ৬৪২ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, ১৪০ হেক্টর আউশ ধান, ৪৮৯ হেক্টর জমির শাক-সবজি। সাতক্ষীরায় ৪৮৫ হেক্টর আমন বীজতলা, এক হাজার ৭৫ হেক্টর আউশ, ৯০০ হেক্টর শাক-সবজি এবং বাগেরহাট জেলায় ১৩০ হেক্টর আমন বীজতলা, ২০ হেক্টর শাক-সবজি ও ১৫ হেক্টর পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অধিদফতরের খুলনাস্থ উপ-পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ মঙ্গলবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানিয়ে পানি নিষ্কাশনে জন প্রতিনিধিদের সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি শীতের আগাম শাক-সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, জেলা সদর, কলারোয়া ও তালা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনে কৃষি কর্মীদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।

বাগেরহাটের উপ-পরিচালক মনোজিৎ কুমার মল্লিক জানান, অধিকাংশ স্লুইচ গেটগুলো প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় দ্রুত পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। শরণখোলা উপজেলার ৩৫/১ পোল্ডারের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। আমন উৎপাদনের গতি বাড়াতে নাবী জাতের বীজ সরবরাহ করার জন্য বিএডিসি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ ও ৫ এপ্রিল ঘূণিঝড়ে খুলনার জেলায় একশ হেক্টর বোরো ধান, ৯৫ হেক্টর তরমুজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আলমগীর হান্নান/এআরএ/পিআর