রং নম্বরে প্রেম, মিললো তরুণী হত্যার রহস্য
মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্কে জেরে রোজিনা নামে এক তরণীকে হত্যার দেড় বছর পর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে রংপুর সিআইডি পুলিশ।
কছিম উদ্দিন নামে এক ট্রাকচালককে গ্রেফতারের পর তার দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই নাজুমল কাদের জানান, রোজিনা নামের মেয়েটির সঙ্গে রং নম্বরে পরিচয় হয় ট্রাকচালক কছিম উদ্দিনের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে মেয়েটি নারায়ণগঞ্জে চলে যায়। সেখানে তারা প্রায় ৩ সপ্তাহ একসঙ্গে বসবাস করেন।
এরপর মেয়েটি কছিম উদ্দিনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কছিম উদ্দিন কৌশলে মেয়েটিকে রংপুরের কাউনিয়ায় নিয়ে এসে হত্যা করে। আনুমানিক ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী ওই এলাকার না, শুধু এটুকুই নিশ্চিত হতে পেরেছিল পুলিশ। পরে অজ্ঞাতনামা হিসেবেই তার মরদেহ দাফন করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, স্বীকারোক্তিতে কছিম উদ্দিন জানায়, বেশ কয়েক দিন একত্রে বসবাসের পর তিনি রোজিনার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রোজিনা কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না। তাই তাকে হত্যা করেন। মেয়েটির নাম রোজিনা ছাড়া আর কিছু জানেন না বলে কছিম উদ্দিন স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কুর্শা বিলের ধানখেতে এক তরুণীর গলা ও পেটে-বুকে ছুরিকাঘাত করা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কাউনিয়া থানার এসআই শাহাদাত হোসেন ওই দিনেই বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। কিন্তু সাত মাসেও হত্যা রহস্য ও খুনিকে শনাক্ত করতে না পেরে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় রংপুর সিআইডি পুলিশের কাছে।
দীর্ঘদিন মামলাটির তদন্ত শেষে সিআইডি নিশ্চিত হয় এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ট্রাকচালক কছিম উদ্দিন জড়িত রয়েছে। গত ১৩ মে কছিম উদ্দিন রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কছিম উদ্দিন স্বীকার করেন তিনি একাই ওই তরুণীকে হত্যা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল কাদের বলেন, ঢাকার আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন থানায় রোজিনার পরিচয় জানতে খোঁজ করা হয়েছে।
জিতু কবীর/এএম/জেআইএম