ছিটমহলের প্রতি ঘরে জ্বলবে ৬৮টি মোমবাতি!
বাংলাদেশ-ভারতের ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা শুক্রবার দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে পতাকা উত্তলোন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, নাচ, গান, পালা, জারি, লাঠি খেলা, হাডুডু ইত্যাদি। ওই দিন রাত ১২ টা ১ মিনিটে দু’বাংলার ছিটমহলবাসী প্রতি ঘরে ঘরে জ্বালাবে ৬৮টি মোমবাতি।
ছিটমহলবাসী ১৯৪৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৮ বছর পর বন্দি জীবন থেকে আলোর মুখ দেখছেন। ছিটমহলবাসী ফিরে পেয়েছে তাদের পরিচয়।
পাটগ্রাম ১১৯ বাশকাঁটা ছিটমলের সম্পাদক নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, আমরা ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। শুক্রবার সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত আমাদের এই বিজয় দিবস পালিত হবে।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, বাংলাদেশে অবস্থিত ১১১টি ছিটমহলে বিজয় দিবস পালন করতে বলা হয়েছে। তারা সবাই বিজয় দিবস পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ছিটমহলম বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক জাগো নিউজকে জানান, দীপ্তিমান সেনগুপ্তের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা তাদের দেশে বিজয় দিবস পালন করবে আর আমরা আমাদের দেশে বিজয় দিবস পালন করবো। আমরা ১১১টি ছিটমহলে বলে দিয়েছি। তারা সবাই সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। শুক্রবার প্রতিটি মসজিদ, মন্দিরে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে ।
দিনটিকে স্মরণ রাখতে ও ৬৮ বছরের বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রাত ১২টা ১মিনিটে প্রতিটি ঘরে ঘরে ৬৮টি মোমবাতি জ্বলবে।
রবিউল হাসান/এসএস/আরআইপি