ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গম খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে চার জাহাজ

প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৫

আলোচিত নিম্মমানের গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাসছে চারটি জাহাজ। সরকারিভাবে আনা দুই লাখ টনেরও বেশি গম রয়েছে বর্হিনোঙরে অবস্থানকারী জাহাজ চারটিতে। গত দেড়মাস ধরে জাহাজগুলো বর্হিনোঙরে ভাসছে বলে জানা গেছে।

আরো জানা যায়, শর্ত অনুযায়ী গমগুলো আমদানি করা হয়নি বলে সরকারের পক্ষে এসব গম গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। মান সম্পন্ন না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে গমগুলো ফেরত নেওয়ার জন্য বলে দেওয়া হয়। কিন্তু এতে সরবরাহকারীরা অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এদিকে গমের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় খালাস করে নিচ্ছে না খাদ্য অধিদফতর।

জানা গেছে, কেপি আলবাট্রোসে আনা গমের নমুনা পরীক্ষা করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। গমগুলো টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী মানসম্মত নয় বলে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি তারা।

অন্যকে সরবরাহকারী ও স্থানীয় শিপিং এজেন্ট বলছে, চুক্তি অনুযায়ী আমদানি করা গমের মান ঠিক আছে। এরপরও ব্যাংকের নথির অযুহাতে গমগুলো খালাস নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী জানান, আমদানি করা গম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খাওয়ার উপযোগী হলে দ্রুত খালাস এবং অনুপযোগী হলে ফেরত দেওয়া প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ জুন ৫১ হাজার ৩৪৭ টন গম নিয়ে এমভি স্পার কেইন এবং ৫০ হাজার ১৪৮ টন গম নিয়ে ১৪ জুন জিন ইয়ু বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। ৫২ হাজার ৫০০ টন করে গম নিয়ে এমভি ওয়েস্টার্ন টেক্সাস গত ২৬ জুন এবং এমভি কেপি আলবাট্রোস গত ৯ জুলাই আউটারে নোঙর করে।

জিন ইয়ো ও ওয়েস্টার্ন টেক্সাস জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট ইউনিশিপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমইউএম আবুল হোসাইন জানান, জিন ইয়ো জাহাজের গমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা চুক্তি অনুযায়ী গম আমদানি হয়নি বললেও এ বিষয়ে লিখিতভাবে কিছুই জানায়নি।

তিনি আরো বলেন, তারা ব্যাংকের লেটার অফ ইনডেমনিটি (এলওয়াই) চাচ্ছে। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী এই মুহুর্তে তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আমদানিকৃত মোট গমের ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের আউটারে এবং ৪০ শতাংশ মংলা বন্দরে খালাস করার কথা ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দরে পৌঁছার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য খালাস করতে হয়। কিন্তু দেড়মাস পরও তা খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না।

জাহাজ বসে থাকার কারণে বিপুল পরিমাণ লোকসান গুণতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাহাজে অলস বসে থাকলে নাবিকদের বেতন, তেল ও অন্যান্য খরচ মিলে দৈনিক ৩০ হাজার ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হয়।

এদিকে মানসম্মত হলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা এবং মানহীন হলে জাহাজ ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

আরএস/আরআইপি