সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ফল বিপর্যয়
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফল বিপর্যয় হয়েছে। তবে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দাবি এবারের ফলাফলে তারা অসন্তুষ্ট নয়। শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে।
এবার এসএসসি পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭০.৪২ শতাংশ। যা গত বছরের থেকে ৯.৮৪ শতাংশ কম। গতবছর পাসের হার ছিল ৮০.২৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ১৯১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৬৩। এর মধ্যে ১ হাজার ৭১৮ জন ছেলে ও ১ হাজার ৪৭৩ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পান। জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টায় শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমেদ।
তিনি জানান, সাধারণ গণিত ও ইংরেজিতে ফলাফল খারাপ করার কারণে এবার পরীক্ষার সার্বিক ফলাফলে পাসের হার কমেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদানে শতভাগ সক্ষম শিক্ষক সিলেটে নেই। এছাড়া গত বছর সাধারণ গণিতে পাসের হার ছিল ৯১.১৯ শতাংশ। এবার তা কমে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৬.৬১ শতাংশ। একই অবস্থা ইংরেজিতেও। গত বছর ইংরেজিতে পাসের হার ছিল ৯৬.২৬ শতাংশ। এবার তা কমে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৯০.৪৫ শতাংশ।
এছাড়া এবারই প্রথম সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। কবির আহমেদ বলেন, এবার পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৮২টি। এর ফলে শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে। আমরা এ ফলে অসন্তুষ্ট নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট সিলেটের চার জেলার ৮৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সিলেট জেলার ১৩টিসহ শতভাগ পাস করেছে ২৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বোর্ডের চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে সিলেট জেলা। এ বছর সিলেট জেলায় পাসের হার ৭৩.৮০, হবিগঞ্জে ৭০.৩৪, মৌলভীবাজারে ৬৬.৯৯ ও সুনামগঞ্জে ৬৮.৫৩ শতাংশ।
এদিকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই সিলেট বোর্ডের অধীনে। এ বছর সিলেট বোর্ডে এসএসিতে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৯২৮জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছেলে ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন ও মেয়ে ৬১ হাজার ৬১ জন। যার মধ্যে মোট পাস করে ৭৬ হাজার ৭১০ জন পরীক্ষার্থী।
ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস