ছাত্রীর মেসেঞ্জারে অশ্লীল ভিডিও দিয়ে শিক্ষক ধরা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুর হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল চ্যাটিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আবুল খায়েরকে নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে ফেসবুকে ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল চ্যাটিংয়ের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই শিক্ষার্থী দুটি স্ট্যাটাস দেয়। পরে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৪ বছর ধরে আবুল খায়ের হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি কোচিং ও প্রাইভেট পড়ান তিনি।
এর মধ্যে হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া এক ছাত্রীকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে তিনি বাসায় গিয়ে পড়াতেন। ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল চ্যাটিংয়ের অভিযোগ তুলে গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী আবুল খায়েরের বাসায় যায় এবং তার ল্যাপটপে অপ্রীতিকর ছবি ও ভিডিও পায়।
এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আবুল খায়েরকে মারধর করে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা ডেকে আবুল খায়েরকে বিদ্যালয়ের চাকরি থেকে বহিষ্কার করেন।
এ ব্যাপারে হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক বলেন, আমরা খায়ের স্যারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। বুধবার বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল খায়েরের বাসায় গেলে তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা না বলে ফোন রেখে দেন।
এরপর একাধিকবার তার মোবাইলে কল দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, তিনি তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ চলে গেছেন।
গত মঙ্গলবার (১ মে) কাশীপুর হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল খায়েরের নামে ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল চ্যাটিংয়ের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় এক ছাত্রী।
স্ট্যাটাসে লিখা হয়, ‘স্কুল শিক্ষকরা ছাত্রীদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে বাজে চ্যাটিং করছে, বাজে ছবি এবং ভিডিও দিচ্ছে।’ এরপর আরও এক ছাত্রী এ নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়। এরপর থেকে শুরু হয় তোলপাড়।
এএম/পিআর