ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পিরোজপুরে অন্তঃসত্ত্বা মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার

প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৫

সাত মাস পূর্বে ধর্ষণের ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা জিয়ানগর উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার শেষে হাসপাতালে ভর্তি করে আইনি সহায়তা দিলো পিরোজপুর মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান। ছাত্রীর বাবা  বুধবার এ ব্যাপারে জিয়ানগর থানায় ধর্ষক আনসার আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
   
জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা লায়লা ইরাদ জাগো নিউজকে জানান, ওই কিশোরী উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ছাত্রীর বাবা আবুল বাগা জানান, বাড়ির পার্শ্ববর্তী মৃত আ. হামিদ খানের ছেলে লম্পট আনসার আলী খান প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লম্পট আনসার বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য  মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখান এবং কাউকে জানালে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ভয়ে মেয়েটি প্রাথমিকভাবে কাউকে কিছু জানায়নি। কয়েক মাস পর মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে মা ফরিদা বেগম মেয়ের কাছে জানতে চান। মেয়েটি অকপটে আনসারের অপকর্মের কথা খুলে বলেন।

বিষয়টি মেয়ের বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বাগাসহ আরো কয়েকজনকে জানালে তারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। ইতোমধ্যে লোকমুখে ঘটনাটি জানাজানি হলে গত সোমবার জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা লায়লা ইরাদসহ সাংবাদিকরা সেখানে ছুটে যান। পরে মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ননি গোপাল রায় জাগো নিউজকে বলেন, কিশোরী বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে তার শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো নয়।

এ ব্যাপারে জিয়ানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা হাসপাতালে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছি। আসামি আনসারকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।

পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন কিশোরীকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান এবং কিশোরীর পরিবারকে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।  

হাসান মামুন/এমজেড/আরআইপি