বড় ভাই নেশা করতে বাধা দেয়ায় ছোট ভাইকে হত্যা
বড় ভাই নেশা করতে বাধা দেয়ায় ছোট ভাই ফাইম বিশ্বাসকে (১০) গলা টিপে হত্যা করেছে মাদকসেবী মিলন ফকির (১৭)। হত্যার পর ফাইম বিশ্বাসের কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় মিলন ফকির।
বুধবার দুপুরে বরিশাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মাদকসেবী মিলন ফকির। মিলন ফকির তার জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগদা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিলন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়।
মিলন ফকির আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগদা এলাকার আলম ফকিরের ছেলে।
নিহত ফাইম বিশ্বাস (১০) উজিরপুর উপজেলার উত্তর সাতলা এলাকার মোশা বিশ্বাসের ছেলে ও উত্তর সাতলা সাইয়েদিয়া কওমি মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
উজিরপুর থানা পুলিশের ওসি শিশির কুমার পাল জানান, মিলন ফকিরের নানা বাড়ি উজিরপুর উপজেলার সাতলা বাজেরে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে সেখানে বেড়াতে এসেছিল মিলন ফকির।
মিলন ফকির নেশগ্রস্ত ছিল। সে ফাইম বিশ্বাসের বাড়ির পাশে নেশা করতে যেত। ফাইমের বড় ভাই একদিন মিলন ফকিরকে নেশা করতে দেখে বাধা দেয়। গালমন্দ করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এর জের ধরে গত ২৭ এপ্রিল সাতলা বাজারের একটি ভবনের ছাদে কথা বলার জন্য ফাইমকে ডেকে নিয়ে যায় মিলন। এরপর ফাইমকে মারধর করে। একপর্যায়ে ফাইমও তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে মিলনের মাথায় আঘাত লাগে। মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে ফাইমকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর মরদেহ রেখে ফাইমের কাছে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায় মিলন।
ওসি শিশির কুমার পাল জানান, ২৮ এপ্রিল মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামে পুলিশ। স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে হত্যায় মিলনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এরপর মিলনের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে মঙ্গলবার রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগদা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ১৬৪ ধারায় আদালদতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মিলন ফকির। মিলন ফকির তার জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পরে আদালত মিলনকে কারাগারে পাঠান।
সাইফ আমীন/এএম/এমএস