কদর বাড়লো বৃদ্ধা কদর ও করফুলের
অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজে সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই কদর পেতে যাচ্ছেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার দুর্গম আমতলীর অসহায় বৃদ্ধা কদর নেছা ও করফুল নেছা।
গতকাল রোববার ‘তবু বেঁচে আছেন কদর ও করফুল’ শিরোনামে জাগোনিউজে সংবাদ প্রকাশের পরপরই টনক নড়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের।
আগের সংবাদটি পড়ুন : তবুও বেঁচে আছেন কদর ও করফুল
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ’র উদ্যোগে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেতে যাচ্ছেন এ দুই বৃদ্ধা। শতোর্ধ্ব দুই বৃদ্ধাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ তুলে আনার জন্য জাগো নিউজের প্রতিবেদককেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, জাগো নিউজ ঘটনাটি তুলে না আনলে সকলের অজানাই থেকে যেত। আর সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত থাকতো এ দুই বৃদ্ধা।
এদিকে সংবাদটি প্রকাশের পর মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ সোমবার তার দপ্তরে আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গনিকে ডেকে এ দুই বৃদ্ধা বয়স্ক ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণও জানতে চান বলে জানা গেছে। এসময় সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতেও নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার উৎপল চন্দ্র দাশ বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর সবসময়ই সাধারণ মানুষের সেবা প্রদানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এমন মানবিক সংবাদ প্রকাশের জাগো নিউজকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ সবধনের সরকারি সহায়তার আওতায় আসবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আমতলী ইউনিয়েনের নতুনপাড়ার বাসিন্দা কদর নেছার বয়স শত পেরিয়ে গেছে আরও ১৭ বছর আগে। আর আবু তাহের সর্দার পাড়ার বাসিন্দা করফুল নেছার বয়স ৯১ এর কোটা পেরিয়েছে। এদের মধ্য কদর নেছা স্বামীকে হারিয়েছে স্বাধীনতার দুই বছর পরে। আর দুই মাস আগে ১২৯ বছর বয়সে মারা গেছেন করফুল নেছার স্বামী মনু মিয়া। কিন্তু বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়লেও তাদের কপালে জোটেনি সরকারি সহায়তা বয়স্ক ভাতা।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এমএএস/আরআইপি