সেনা মোতায়েন করার কোনো পরিকল্পনা কমিশনের নেই : ইসি
নির্বাচন কমিশনার (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করার কোনো পরিকল্পনা কমিশনের নেই। তবে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা প্রয়োজন সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কেসিসি) ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। এজন্য পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
রোববার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউসের লবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকল দলের প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনে তাদের প্রচার-প্রচারণা স্বাভাবিকভাবে করতে পারে সেই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে তিনি খুলনা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির এক সভা করেন।
সভায় নির্বাচন কমিশনার বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ও জনগণকে অবহিতকরণের লক্ষে এবারের কেসিসি নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে অথবা ৪-৫টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোকে সিসি টিভির আওতায় আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রের ২২ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অস্ত্রসহ মোতায়েন থাকবে। জেলা প্রশাসনের ১৩-১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছে। আগামী ১৩ মে খুলনা সিটিতে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনার রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে (মঙ্গলবার) খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আলমগীর হান্নান/আরএ/আরআইপি