ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

খুলনায় বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত

প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৫

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বুধবার খুলনায় বিশ্ব বাঘ দিবস-২০১৫ পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে সকালে র‌্যালি এবং খুলনা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে  আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বাঘ বাঁচলে বাঁচবে বন, রক্ষা হবে সুন্দরবন’। খুলনা জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ এ সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষার স্বার্থেই বাঘকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য বনবিভাগকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সুন্দরবনকে  রক্ষা করেই পর্যটন শিল্পের বিকাশে পরিকল্পনা নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকেও বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণিকে রক্ষায় সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য। জীববৈচিত্র রক্ষায় ব্যাপক গণসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হরুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুল হক খান, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জহির উদ্দিন আহমেদ, ইউএসএইডি’স বাঘ অ্যাক্টিভিটি চিফ অব পার্ট প্রকাশ কান্ত সিলওয়াল এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক সুনিল কুমার কুণ্ডু। স্বাগত বক্তৃতা করেন বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহিদুল কবির।

প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালযের ফরেষ্ট অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন এর অধ্যাপক ড. নাজমুল সাদাত এবং ইউএসএইডিস বাঘ অ্যাক্টিভিটির ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন ইউএসএআইডির প্রতিনিধি মো. মাহাবুবুল আলম।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে বন বিভাগকে আরো প্রচেষ্টা চালাতে হবে। খাবারের অভাবে বাঘ দিন দিন ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনকে রক্ষায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই। সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো, আমাদের স্বার্থেই একে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তারা বাঘ রক্ষায় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এর আগে জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হরুনুর রশিদের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অফিসার্স ক্লাবে এসে শেষ হয়।

আলমগীর হান্নান/এমজেড/পিআর