ছাত্রাবাসে নিয়ে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ, আটক ৩
বরিশাল নগরীর একটি ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে এক কলেজছাত্রীকে (১৮) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দিকে নগরীর কলেজ রোডের (ভাষা শহীদ অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী খান সড়ক) সিকদার ভিলার একটি ছাত্রবাসে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই ওই কলেজছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম সজীব নামে এক ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। ওই ছাত্রীকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
আটক সজীব বিএম কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঘটনার মূল হোতা বিএম কলেজ এলাকার চিহ্নিত বখাটে রাব্বী ও তার সহযোগী মানিককে আটক করে পুলিশ। আটক রাব্বী ও মানিকের বাসা বিএম কলেজ সংলগ্ন এলাকায়।
নগরীর কোতয়ালী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, কাশীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী (১৮) নোট আনতে সকালে মথুরানাথ স্কুল সড়কে তার বয়ফ্রেন্ড সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজের মেসে যান। এ সময় রাব্বী, সজিব ও মানিক ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক সেখান থেকে কলেজ রোডের সিকদার ভিলার একটি মেসে নিয়ে যায়। পরে ওই মেসের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম সজীবের কক্ষে নিয়ে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে তারা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে রাব্বী ওই ছাত্রীকে সজীবের জিম্মায় রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে ওই ছাত্রীর সহপাঠী ইমতিয়াজ তার বান্ধবীকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার খবর পুলিশকে জানালে পুলিশ কলেজ রোডের ওই বাসায় গিয়ে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি করে। এ সময় সজীবকে আটক করে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের কিছু আলামতও উদ্ধার করা হয়। এরপর রাব্বী ও মানিককে আটক করতে অভিযানে নামে পুলিশ। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঘটনার মূল হোতা রাব্বীকে লাকুটিয়া সড়ক থেকে ও তার সহযোগী মানিককে তালভীটা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এসআই সত্য রঞ্জন।
সাইফ আমীন/আরএআর/পিআর