ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

উপর তলার ডিসি নেমে এলেন কাঁঠালতলায়

জেলা প্রতিনিধি | যশোর | প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

বয়সের ভারে ন্যুব্জদের কথা চিন্তা করে উপর তলার ডিসি নেমে এলেন নিচে। শুনলেন ভুক্তভোগীদের দুঃখ-কষ্ট, সমস্যা আর অভাব-অভিযোগের কথা। ৪৩টি সিঁড়ি ভেঙে দ্বিতীয় তলায় উঠে কষ্টের কথা জানাতে আরও কষ্ট যাতে না হয় সেজন্য দায়িত্ব গ্রহণের দেড় মাসের মধ্যেই বুধবার যশোরের ডিসি আব্দুল আওয়াল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন থেকে ‘গণশুনানি’ হবে প্রতি বুধবার কালেক্টরেট চত্বরের কাঁঠালতলায়। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। ডিসি’র এই সিদ্ধান্তে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন তাদের খুশির কথা।

যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনায় যশোরের ২৩তম ডিসি আবুয়াল হোসেন ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে যশোরে গণশুনানি শুরু করেন। এরপর এক যুগ ধরে কালেক্টরেট ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডিসি-সভাকক্ষে এই গণশুনানি হয়ে আসছিল। কিন্তু বুধবার যশোরের ৩১তম ডিসি আব্দুল আওয়াল বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের কথা চিন্তা করে কালেক্টরেট চত্বরের গ্যারেজ সংলগ্ন কাঁঠালতলায় এই গণশুনানি আয়োজনের নির্দেশ দেন।

সেই অনুযায়ী বুধবার কাঁঠালতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গণশুনানি। এসময় ডিসি আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার প্রীতম সাহা এবং নূরুল ইসলাম। এদিন ১৩টি শুনানি প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে শোনেন ডিসি। তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তিযোগ্য কোনো অভিযোগ না থাকায় টেলিফোনে বিভিন্ন দফতর ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। কিছু অভিযোগকে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর কিছু অভিযোগ রেখে দেয়া হয়েছে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য।

এদিকে গণশুনানিতে আসা যশোর সদরের ইসলামপুরের ইয়াদ আলী ব্যাপারীর ছেলে নুরুন নবী বলেন, ‘বয়স্কদের কথা ভেবে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। এতদিন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষমরা দুই তলায় উঠতে পারবেন না বলে গণশুনানিতে এসে তাদের কথা বলতে পারতেন না। এখন থেকে তারাও আসবেন বলে আমি মনে করি।’

শহরের খোলাডাঙ্গার বাসিন্দা মৃত রফিক শেখের স্ত্রী খাদিজা বেগম, বাঘারপাড়ার আহম্মদ মোল্যার ছেলে ইমাম জানান, ‘ডিসি সাহেব আন্তরিকতার সঙ্গে সময় নিয়ে অভিযোগ শুনেছেন। তার আন্তরিকতায় আশার আলো খুঁজে পেয়েছি।’

জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, ‘গণশুনানিতে জনগণের সমস্যা, অভাব, অভিযোগ, আবেদন, নিবেদনের কথা শুনতে হবে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে বয়সের ভারে ন্যুব্জ ব্যক্তিরা দোতালায় উঠতে পারছেন না। ফলে তাদের কথা আমার কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেন না। তাই সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমিই নেমে এলাম। এখন থেকে গণশুনানি প্রতি বুধবার বেলা ১১টায় এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।’

মিলন রহমান/এফএ/আরআইপি

আরও পড়ুন