রোহিঙ্গা তল্লাশির নামে হয়রানি, উখিয়া সড়ক অবরোধ
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে রোহিঙ্গা তল্লাশির নামে স্থানীয়দের হয়রানির অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্যকে হয়রানির পর বুধবার সকালে ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এ ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুতুপালং থেকে জানাজার নামাজ শেষে কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও উখিয়া বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী মন্টুসহ বেশ কয়েকজন গাড়ি যোগে উখিয়া আসছিলেন বুধবার বেলা ১১টার দিকে। এসময় উখিয়া নিউ ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসায়। সেখানে দায়িত্বরতরা গাড়িটি গতিরোধ করে। পুলিশ গাড়িতে থাকা লোকজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে চান। জেলা পরিষদ সদস্য নিজের পরিচয় এবং স্থানীয় অন্যদের পরিচয় দেওয়ার পর সঙ্গে কার্ড না থাকার কথা জানান। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এনিয়ে উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি দেখে অন্য গাড়ির সাধারণ যাত্রী ও গাড়ি চালক নেমে সড়ক অবরোধ ও চেকপোস্টটি ঘেরাও করে। এসময় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
খবর পেয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী, রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। উখিয়া থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে মধ্যস্থতায় দীর্ঘ ১ ঘণ্টা পর যান চলাচল সচল হয়।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, যেকোন গাড়িতে যাত্রী হিসেবে থাকা স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করলেও অদৃশ্য কারণে রোহিঙ্গারা অবাধে বিচরণের সুযোগ পাচ্ছে। বিক্ষুদ্ধ জনতার দাবি উখিয়া কলেজের সামনে সেনাবাহিনী চেক করার পরও সামান্য দূরত্বে আবারও পুলিশের চেকপোস্ট হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভুল বুঝাবুঝির কারণে সৃষ্ট ঘটনাটি উভয়পক্ষের মধ্যস্থতায় সমাধান করা হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএ/জেআইএম