ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের দাউদকান্দি এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বুধবার ভোর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ সড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে।
গাড়ির চালক ও যাত্রীরা বলছেন, কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাতায়াতের দুই ঘণ্টার রাস্তায় প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে।
যাত্রী ও চালকদের অভিযোগ, মেঘনা ও দাউদকান্দি সেতুতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং দাউদকান্দির টোলপ্লাজা এলাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেলে সংশ্লিষ্টদের অবৈধ বাণিজ্য এবং অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও বেপরোয়া গতিতে এলোমেলো গাড়ি চলাচলের কারণে তারা ফোর লেনের তেমন সুফল পাচ্ছেন না। যানজটে আটকা পড়ে যাত্রী ছাড়াও পণ্যবাহী যানবাহন, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও ভিআইপিদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন সড়কের যানবাহনের গতি ডাবল লেনের মেঘনা গোমতী ব্রিজে গিয়ে যানজটে গতি থেমে যাচ্ছে। এছাড়াও দাউদকান্দির টোল প্লাজা এলাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেলে অবৈধভাবে টাকা আদায় নিয়ে পণ্যবাহী যানবাহনের চালকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দর কষাকষির কারণে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
যাত্রী ও চালকরা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোর লেন হওয়ার কারণে মহাসড়কের অন্য কোথাও তেমন যানজট সৃষ্টি না হলেও টোল প্লাজায় পণ্যবাহী যানবাহন থেকে বখরা আদায় করতে গিয়ে ঢাকামুখী অংশে প্রতিদিনই কম-বেশি যানজট লেগেই থাকে।
কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের যাত্রী জাহিদুর রহমান সুমন জানান, সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে মেঘনা সেতু পেরিয়ে যানজট অতিক্রম করে দাউদকান্দি এলাকায় আবারও যানজটে পড়তে হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি কুমিল্লায় পৌঁছেছেন।
হাইওয়ে পুলিশের দাউদকান্দি থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি। এছাড়াও দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতুতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং টোল প্লাজায় ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেলে ধীরগতির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে যানজট স্থায়ী হচ্ছে না। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কামাল উদ্দিন/আরএআর/জেআইএম