বিয়ের খাবার দিতে দেরি হওয়ায় কনে রেখে চলে গেল বর
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে খাবার দিতে দেরি হওয়ায় কনের বাড়িতে বিয়ের আসরে বরসহ বরপক্ষের লোকজন হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে কনে রেখে চলে যায় বর।
এসবের প্রতিবাদ করায় কনের মাসহ আত্মীয়-স্বজনকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে উপজেলার নোয়াপাড়া জামদানি প্রজেক্টে। কনে টুম্পা আক্তার মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থানার আউসসাহি এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে তারা নোয়াপাড়া জামদানি প্রজেক্টের ইছামদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
কনের মা ফাতেমা বেগমের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৩ এপ্রিল নোয়াপাড়া এলাকার জহিরুলের ছেলে সুমনের সঙ্গে টুম্পা আক্তারের বিয়ে দেন। বিয়েতে মেয়ের সুখের চিন্তা করে নগদ ৭৫ হাজার টাকা দেন। এছাড়া মেয়েকে উঠিয়ে দেয়ার সময় খাট, ফ্রিজ, সুকেসসহ মালামাল দেয়ার জন্য আনা হয়। বিয়ের পর থেকেই জামাই সুমন মিয়া শাশুড়ি ফাতেমার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।
বিয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে উঠিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে শনিবার ৪০০ লোকের খাবারের আয়োজন করা হয়। ওই দিন আত্মীয় স্বজনরা খাওয়া-দাওয়া শুরু করেন।
এ সময় বরসহ বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে উপস্থিত হন। খাবার দিতে দেরি হওয়ায় বর সুমনসহ বরপক্ষের জহিরুল, রমজান, রহিম কসাইসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একদল অনুষ্ঠান বানচাল করে দেয়।
একপর্যায়ে গ্লাস, প্লেট, জগ, চেয়ার, টেবিলসহ ডেকোরেটরের মালামাল ভেঙে ফেলে। প্রতিবাদ করায় ফাতেমা বেগমসহ আত্মীয় স্বজনকে মারধর করে বরপক্ষের লোকজন। এ সময় আত্মীয় স্বজনদের দেয়া ১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণ লুট করে হামলাকারীরা।
পাশাপাশি কনে টুম্পা আক্তারকে বাপের বাড়িতে রেখে বরসহ বরপক্ষের লোকজন চলে যায়। এছাড়া টুম্পাকে কখনও ঘরের বউ করে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, উল্টো কনেপক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুল বুঝে ঘটনাটি ঘটেছে। আমি দুইপক্ষকে মিলিয়ে দেয়ার জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। আশা করছি তাদের মিলিয়ে দিতো পারবো।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এ ধরনের অভিযোগ এখনও হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএম/আরআইপি