হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্পজাতীয় মা মাছ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে নদীতে নমুনা ডিম দেখেছেন ডিম আহরণকারীরা।
প্রতিবছরই এপ্রিল-মে মাসে বজ্রসহ বৃষ্টি হলে ডিম দেয় মা মাছ। ডিম ছাড়ার আগে নদীর বিভিন্ন অংশে নমুনা ডিম ছাড়ে কার্পজাতীয় মাছ।
ডিম আহরণকারীরা জানান, হালদা নদীর গড়দুয়ারা এলাকায়, নয়াহাট, কান্তার আলী চৌধুরীহাট, কাগতিয়া মোড়, মাছুয়াঘোনা, সিপাহীর ঘাট, আজিমার ঘাট, নাপিতের ঘাট, মাদার্শা বড়ুপাড়া এলাকায় মা মাছের ডিমের নমুনা আংশিক দেখা দিয়েছে।
তারা সংবাদ পেয়ে ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়েছেন। তবে মা মাছ শুধু নমুনাই ছেড়েছে। নমুনা দেখে ডিম আহরণকারীরা নৌকা ও সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে অপেক্ষা করছে। যদি রাতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়, তাহলে হয়তো এ তিথিতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে।
গত তিনদিন ধমকা ও ঝড়ো হাওয়া, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়। বৈশাখ মাসে প্রথম সপ্তাহে এমন বর্ষণের ফলে হালদা নদীর শাখা, খালে অল্প অল্প পাহাড়ি ঢল দেখা দিয়েছে। ঢলের স্রোত হালদা নদীতে গিয়ে পড়েছে।
গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকার ডিম আহরণকারী কামাল সওদাগর জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কিছু কিছু এলাকায় ডিমের নমুনা পাওয়া গেছে। ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ডিমের নমুনা পেয়েছেন আহরণকারীরা।
তিনি বলেন, এখন মা মাছের ডিম ছাড়ার সময় এসেছে। যদি রাতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয় হাতলে এ তিথিতে হয়তো মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে।
এদিকে হাটহাজারী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা কাজী আবুল কালাম বলেন, ডিম ছাড়ার মৌসুম শুরু হয়েছে। যদি রাতে আবারও বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ হয় তবে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে।
মদুনাঘাট হ্যাচারিসহ হালদা নদী সংলগ্ন ডিম থেকে রেণু ফোটানোর হ্যাচারিগুলো সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হালদা নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুুরুল কিবরিয়া জানান, নদীতে মা মাছ ডিমের নমুনা ছাড়ার খবর তিনি পেয়েছেন।
জেডএ/পিআর