স্কুলে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক ধরা

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি স্কুলে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক আবু মোতাহার মো. নিয়ামুল বাকীকে (৫০) হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার ওই শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটক আবু মোতাহার মো. নিয়ামুল বাকী ময়মনসিংহ জেলা সদরের মনোয়ার হোসেনের ছেলে। আটক নারীর নাম বিথী আক্তার (২৭)। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার পাটাভোগ ইউনিয়নের উত্তর পাইকসা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।

এদিকে এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে ক্লাস বর্জন করে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। দুপুরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ জরুরি সভা ডেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান শিক্ষক অনেকদিন যাবত স্কুলের দোতলায় একটি কক্ষে বসবাস করছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক নারীকে তিনি তার থাকার রুমে নিয়ে যান। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। পরে রুম খুলে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে পুলিশকে খবর দেয় তারা। রাত ১১টার দিকে সিরাজদিখান থানা পুলিশ প্রধান শিক্ষকসহ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্কুল কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, এ ঘটনায় আমরা দুপুরে মিটিং করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী ও এক শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করার কথা শুনেছি। তবে সরসরি কোনো অভিযোগ না থাকায় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার আটক দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/আরএআর/এমএস