ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কালীগঞ্জের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০৬:৫৮ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৫

চলমান বর্ষণ আর অবিরাম বৃষ্টিতে কালীগঞ্জের রাস্তাঘাটে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যান চলাচল তো দূরের কথা সাধারণ মানুষ চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই খানাখন্দে হাঁটুপানি জমে দৃশ্যত ছোট ডোবায় পরিণত হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পৌর এলাকার পোস্ট অফিস সড়ক, খাদ্য গুদাম সড়ক, ভাদার্ত্তী মসলিন কটন মিল সড়ক, ওয়াপদা সড়ক, উপজেলা-বাইপাস সড়ক, বড়নগর সড়ক, ভাদগাতী জামে মসজিদ সড়ক, কালীগঞ্জ-দোলান বাজার সড়ক, সোম-বঙ্গবন্ধু সড়ক, ভাইয়াসুতি-মানিকপুর সড়ক ও ঘোড়াশাল-জামালপুর-দোলান বাজার সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দে যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর এমন বেহাল দশায় যানবাহন তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের  চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জানা যায়, সড়কগুলো দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ কালীগঞ্জ ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, পোস্ট অফিস, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল-কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোতে কাজের জন্য আসা-যাওয়া করতে হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী ও কল-কারখানায় কর্মজীবী মানুষ এ সকল রাস্তাগুলো ব্যবহার করে।



কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন জানান, সে ছাত্র হলেও লেখাপড়ার খরচ চালাতে খন্ডকালীন একটি চাকরি করেন। আর এ চাকরির সুবাদে তাকে উপজেলার বিভিন্ন ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকানে দোকানে ঘুরতে হয়। তিনি আরো জানান, উপজেলার ঘোড়াশাল-জামালপুর-দোলান বাজার সড়কের ঘোড়াশাল ব্রিজের নিচ থেকে জামালপুর ইউনিয়নের গোল্লারটেক পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দের কারণে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে গোল্লারটেক এলাকায় রাস্তার অবস্থা এত বেশি খারাপ যে, ওই রাস্তা দিয়ে বড় কোনো যান চলাচল করতে পারছে না। এক্ষেত্রে গোল্লারটেক থেকে বিকল্প রাস্তায় দোলান বাজার গেলেও ভাড়া পড়ছে বেশি।

কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো. আরমান মিয়া জানান, বাজার থেকে মসলিন কটন মিল হয়ে ভাদার্ত্তী পুরাতন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক যান চলাচল এবং মানুষ চলাচলের অনুপযোগী। বর্তমানে হা-মীম গ্রুপের দু’পাশে সীমানা প্রাচীরের কারণে এ সড়কে নিয়মিত বৃষ্টির পানি জমে পুরো রাস্তাটিতে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ সুযোগে ১০ টাকার রিকশা ভাড়া আদায় হচ্ছে ২০ টাকা।



উপজেলার ভাদগাতী গ্রামের চা দোকানি মো. সামির উদ্দিন জানান, কালীগঞ্জ বাজার থেকে বড়নগর পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলে অনুপযোগী। এ সড়কে বৃষ্টির পানি জমে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
 
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী বদরুল আজম জাগো নিউজকে বলেন, বর্ষাকাল এলেই এলাকার রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থা হয়। তবে এটা শুধু কালীগঞ্জে না সারা বাংলাদেশেই এ অবস্থা। তবে বিভিন্ন স্থানে আমাদের মেরামতের কাজ চলছে। আর যে সড়কগুলো বাকি সেগুলো খুব শিগগিরই মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পৌর এলাকার বেহাল সড়কগুলো নিয়ে কালীগঞ্জ পৌর মেয়র মো. লুৎফুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পৌর এলাকার রাস্তাঘাটগুলো মেরামতে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আব্দুর রহমান আরমান/এসএস/এমএস