রাজশাহীতে মারা গেলেন আহত শ্রমিকও
রাজশাহীতে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ক্রেন ভেঙে পড়ে এবার আহত শ্রমিক বাবু মিয়ার (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহীর টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবু মিয়া পাবনার ঈশ্বরর্দীর মোসলেম উদ্দিনের ছেলে । এর আগে ঘটনাস্থলে শ্রমিক মোস্তাজুল ইসলাম (২২) মারা যান। তিনি নগরীর ঠাকুরমারা সুতাহটি এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে।
নিহত দুজন কোরিয় সহায়তা সংস্থা কোইকার অর্থায়নে নির্মিত রাজশাহী টিটিসির ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্পের ভাড়াকরা কর্মী ছিলেন। এদের মধ্যে নিহত মোস্তাজুল মিক্সার মেশিনের সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মুক্তা কনস্ট্রাকশন। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, বাইরের একটি প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছিলো। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় তৃতীয় তলার কাজ। সেখানে ক্রেনে করে নির্মাণ সামগ্রী তুলছিলেন কর্মীরা। সকাল সোয়া ৯টার দিকে স্যাফট ভেঙে ক্রেনটি নিচের মিক্সার মেশিন ঘেঁষে পড়ে। এসময় সেখানে কর্মরত মোস্তাজুল মাথায় ও বুকে মারাত্মক আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মারাত্মকভাবে আহত হন আরেক কর্মী বাবু। রামেক হাসপাতালে নেয়ার পর তিনিও মারা যান।
শ্রমিকদের অভিযোগ, কোন ধরণের নিরাপত্তা ছাড়াই নিচে কাজ করছিলেন কর্মীরা। এছাড়া কাজ শুরুর আগে যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করেও দেখেননি সংশ্লিষ্টরা। এতে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ওই দুই শ্রমিক। এছাড়া কর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি করেন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। তবে তারা সেগুলো ব্যবহার করছিলেন কিনা তা জানাতে পারেননি শ্রমিকরা।
নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে মৃতের মরদেহ নেয়া হয়েছে সেখানকার মর্গে। এনিয়ে এখনও থানায় অভিযোগ আসেনি। তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ওসি জিল্লুর রহমান।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএ/এমএস