রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সৌদি সহায়তা অব্যাহত থাকবে
বর্তমানের চেয়ে প্রায় দিগুণ সক্ষমতা পাচ্ছে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে নতুন ২৫০ শয্যা যুক্ত হয়ে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হচ্চে।
এটি বাস্তবায়নে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের উন্নয়নে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে সৌদিআরবের কিং সালমান রিলিফ সেন্টার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় সৌদিআরবের কিং সালমান রিলিফ সেন্টার সুপারভাইজার জেনারেল ড. আবদুল্লাহ আল রাবিয়াহ এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যখাতে সৌদি-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বমূলক কাজ করবে জানিয়ে ড. আবদুল্লাহ আল রাবিয়াহ বলেছেন, নিপীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে সৌদি সরকার। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশিরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তাই রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নেও কাজ করবে সৌদি সরকার। এ জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে উন্নত চিকিৎসার সব ধরনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবের অনেক পুরনো বন্ধু। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক বিষয়ে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক আছে। বর্তমানে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের ভরণপোষণ এবং চিকিৎসা দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে সম্মানের জায়গা করে নিয়েছে। তাই সৌদিআরবের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে আমরা অংশীদারিত্বমূলক কাজ করব। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল সহায়তা দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সৌদি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
সকাল ১০টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসেন ড. রাবিয়াহ। তিনি প্রথমে হাসপাতালের রান্না ঘর, রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার স্থান ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন।
এর আগে কক্সবাজারের একটি হোটেলে এইএনএইচসিআর’র সঙ্গে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান করেন সৌদি প্রতিনিধি দল। সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য ইউএনএইচসিআরকে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছে কিং সালমান রিলিফ সেন্টার।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পুঁ চ নু বলেন, সদর হাসপাতালটি এ নতুন সংযোজন জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় মাইলফলক হয়ে দেখা দেবে। রোহিঙ্গা অবস্থান আধিক্য থাকায় সদর হাসপাতালের পাশাপাশি উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য বড় একটি বরাদ্দ দরকার। আশা করি দাতাদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে এর জন্য অনুদান পাবো।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর