মৌ হত্যার রহস্য উদঘাটন : প্রেমিক গ্রেফতার
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কলেজছাত্রী রোমানা আক্তার মৌকে জবাই করে ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। এ ঘটনায় মাহফুজ আলম মানিক নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩।
গ্রেফতারকৃত মো. মাহফুজ আলম মানিক (২২) বীরগঞ্জ উপজেলার ছোট শীতলাই সর্দারপাড়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় দিনাজপুর র্যাব সিপিসি-১ ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান র্যাব-১৩’র অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত পিপিএম। এ সময় দিনাজপুর র্যাব সিপিসি-১ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-মাহমুদ রাজু উপস্থিত ছিলেন।
রোববার দিবাগত মধ্য রাতে রংপুর শহর থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। র্যাব জানিয়েছে প্রেমের সূত্র ধরেই ওই কলেজ ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার বড় শীতলাই চৌধুরীপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে রোমানা আক্তার মৌয়ের সঙ্গে একই এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে মাহফুজ আলম মানিকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পারিবারিক অসম্মতি ও মৌয়ের একাধিক প্রেমের সম্পর্ক থাকায় মানিক অন্যত্র বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পরেও মৌয়ের প্রতি তার দুর্বলতা থেকেই যায়।
এ কারণে অন্য প্রেমিকের সাথে মৌয়ের মেলামেশা সে মেনে নিতে না পেরে ১৬ জুলাই রাতে মৌকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে র্যাব সদস্যরা মৌয়ের ডায়েরির লেখনী থেকে প্রেমঘটিত ব্যাপার সন্দেহ করে তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে মাহফুজ আলম মানিক নিখোঁজ থাকায় র্যাবের গোয়েন্দা দল আরোও তৎপরতা শুরু করে। রোববার দিবাগত রাতে র্যাব সদস্যরা রংপুর থেকে মানিককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে মৌকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এদিকে হত্যাকারী মাহফুজ আলম মানিক জানিয়েছে, বিয়ের পরেও মৌ তার সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছিল। এতে করে তার পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। পারিবারিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে সে মৌকে হত্যা করেছে বলে জানায়।
এমদাদুল হক মিলন/এসএস/পিআর