প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের এক স্কুলছাত্রী প্রেমিকের সঙ্গে শালবাগানে ঘুরতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচ ধর্ষককে আটক করে রোববার কোর্টে চালান দিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ডাঙ্গাপাড়া (বগুড়াপাড়া) গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে প্রেমিক মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা শহরের মাকড়াই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল মজিদ (৩৫), হাটখোলা হঠাৎপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে সুমন (২২), জগদলহাট পুকুর গ্রামের সালামের ছেলে সুলতান অরফে সাদ্দাম (২৩) ও মাকড়াই দক্ষিণপাড়া গ্রামের জগদীশ হেমরমের ছেলে রুবেল হেমরম (২২)।
বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজ হাট আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণি ছাত্রী (১৬) গত শনিবার বিকেলে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচিত তিন সন্তানের জনক পল্লী চিকিৎসক প্রেমিক মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে পৌর শহরের শালবাগানে বেড়াতে আসে। এসময় রফিকুল ইসলাম ওই কিশোরীর সঙ্গে গাছের আড়ালে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। যা আব্দুল মজিদ, সুমন, সুলতান অরফে সাদ্দাম ও রুবেল হেমরম দেখে ফেলে। এ সুযোগ নিয়ে তারা ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এসময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে ধর্ষকেরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও রফিকুল ইসলামকে আটক করে শালবাগানের পার্শ্ববর্তী বাড়ি স্থানীয় সুজালপুর ইউপি সদস্য ভবেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সুজালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহেশ চন্দ্র রায় থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ তাদেরকে নিয়ে আসে। এরপর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আব্দুল মজিদ, সুমন, রুবেল হেমরম ও সাদ্দামকে আটক করে।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাতেই বীরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। বীরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ আবু আক্কাছ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এমদাদুল হক মিলন/এমএএস/আরআইপি