ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মৌলভীবাজারে বিপন্ন লাল হনুমান

জেলা প্রতিনিধি | মৌলভীবাজার | প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৮

সবুজ বনের উঁচু গাছের ডালে ডালে ঘুরাঘুরি করে। চলাফেরা, খাবার সংগ্রহ, ঘুম, খেলাধুলা, বিশ্রাম, প্রজনন—সবকিছু গাছেই সম্পন্ন করে। সচারাচর দলের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। দলে থাকা শক্তিশালী পুরুষ দলের নেতা। এরা মুখপোড়া হনুমান বা লাল হনুমান নামেই পরিচিত। মহাবিপন্ন প্রাণিদের একটি লাল হনুমান। এরা খুব শান্তিপ্রিয় প্রাণি।

ঘুরে বেড়ায় দলবদ্ধভাবে, এ প্রাণিদের একেকটি দলে সচরাচর দুই থেকে ১৪টি প্রাণি থাকে। মহাবিপন্ন প্রজাতির প্রাণি তাই খুব একটা দেখা যায় না।

প্রাণি জগতের বেশিরভাগ প্রাণি আজ বিরল বা বিপন্ন প্রজাতিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। আর দিনে দিনে যত বেগে প্রাণি কমছে তত বেগেই প্রকৃতি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ভারসাম্য। সুন্দর এ প্রাণিদের একটি হচ্ছে মুখপোড়া হনুমান বা লাল হনুমান। মুখপোড়া হনুমান বা লাল হনুমানকে সাধারণত মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, আদমপুর বিট ও রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণি অভয়ারণ্যে দেখা যায় তা ছাড়াও সিলেট এবং চট্টগ্রামে চির সবুজ বনে দেখা যায়। এরা শান্তিপ্রিয়, সাধারণত দিনের বেলায় বের হয়।

manki1

দিন দিন মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে বন্যপ্রাণির আবাসস্থল। বন্যপ্রাণিদের বাসস্থান দখল করে মানুষ গড়ছে ঘর-বাড়ি ও কল-কারখানা। দেশের প্রতিটি বন হারাচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য। হুমকির মুখে আছে বেশির ভাগ প্রজাতির প্রাণির ভবিষৎ। এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো শুধু ছবির পাতাতেই খুঁজে পাওয়া যাবে প্রাণিজগৎ।

হাজারও বৈচিত্র্যময় প্রাণিতে ভরপুর ছিল এ সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। যা এখন অনেকটাই নেই বলেই চলে। মুখপোড়া হনুমান বা লাল হনুমান মানুষের মতই প্রাইমেট বর্গের সদস্য ‘লম্বা লেজওয়ালা’। এদের ইংরেজি নাম CAPPED LEAF MONKEY বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus।

manki1

মুখপোড়া হনুমানের লোমবিহীন মুখমণ্ডল, কান, হাত ও পায়ের পাতা কালো। মাথার চূড়া ও লেজের আগাও কালো। পিঠ ও দেহের ওপরের লোম গাঢ় ধূসর-বাদামি এবং বুক-পেট ও দেহের নিচ লালচে-বাদামি বা সোনালি। মাথার পেছনে লোম এমনভাবে মাথা ঢেকে রেখেছে দেখে মনে হবে যেন টুপি পরে আছে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ফুল, ফল ও কচি পাতা। তবে আমড়া, আমলকী, হরীতকী, বহেড়া ইত্যাদি ফলও বেশ পছন্দ। মার্চ–জুলাই মাসে এরা প্রজনন স্মপন্ন করে। বন-জঙ্গল ধ্বংসের কারণে দিনে দিনে এদের সংখ্যা যে হারে কমছে, এখনই কোনো ব্যবস্থা না নিলে বিপন্ন এ প্রাণি অচিরেই হারিয়ে যাবে।

রিপন দে/আরএ/এমএস

আরও পড়ুন