অবাধে চলছে নকল, নীরব প্রশাসন
চলতি এইচএসসি (কারিগরী) ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সিদ্দিকীয় সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ব্যাপক নকলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা পারভিন তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এছাড়া সাংবাদিকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের এখতিয়ার নেই বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, নজিপুর সিদ্দিকীয়া সিনিয়র মাদরাসা কেন্দ্রে ১৫৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ২৩ জন বিজিবি সদস্য রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নজিপুর সিদ্দিকীয় সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ব্যাপক নকল করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় তিন-চারজন সংবাদিক সেখানে যান। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ ও হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নকলের কাগজ কুড়াতে শুরু করেন।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানার পর কেন্দ্রে ছুটে আসেন। পরীক্ষার হলে সংবাদকর্মীদের প্রবেশের এখতিয়ার নেই এমন কথা বলে কেন্দ্র থেকে সাংবাদিকদের চলে যেতে বলেন।
স্থানীয়রা জানান, দু’তলা ভবনের নিচতলায় হলের পেছনের প্রায় প্রতিটি জানালার গ্রিলের সঙ্গে সুতা বিশেষ কায়দায় বই ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সুতা টেনে বই নিয়ে পাতা ছিঁড়ে নকল হিসেবে ব্যবহার করছেন পরীক্ষার্থীরা। এছাড়া হলের চারপাশে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বই ও গাইডের পাতা। অবাধে পরীক্ষার্থীরা নকল করলেও হলে দায়িত্বরত শিক্ষক, হল সুপার ও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।
এ বিষয়ে হল সুপার ও নজিপুর কারিগরী কলেজের অধ্যক্ষ রকিব উদ্দিনর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচারণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা নকল করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ছুটে যাই। কিন্তু কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। বরং হলে দায়িত্বরত শিক্ষক, হল সুপারকে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
আব্বাস আলী/এফএ/এমএস