বান্দরবানে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দুর্ভোগে পর্যটকরা
টানা চার দিনের বর্ষণে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ তৃতীয় দিনের মত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে বান্দরবানে বেড়াতে আসা শত শত পর্যটকরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকাল থেকে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়া ইউনিয়নের বড়দুয়ারা এলাকায় পানি উঠায় সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাস্তার উভয় পাশে আটকা পড়েছে অর্ধশতাধিক গাড়ি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় জেলা-উপজেলায় আটকা পড়েছে শত শত পর্যটক ।
আরো জানা গেছে, টানা বর্ষণের কারনে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও থানছি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি অবস্থায় আছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ চালু হলেও অন্য উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বান্দরবান সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ করছে।
এদিকে, সোমবার দুপুর থেকে সূর্যের দেখা মেলার কারণে স্থবির হয়ে পড়া ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা হতে শুরু হয়েছে। তবে বন্যার কারনে জেলার সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার তুলনামূলকভাবে কম ।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা বলেন, বন্যার্তদের পৌরসভার পক্ষ থেকে যথা সম্ভব ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে ।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় বান্দরবানে ২ হাজার ৬৬৮ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে বেসরকারি সূত্র মতে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। জেলায় গত মাসে বন্যার সময় পাহাড় ধসে ২ জন নিহত এবং আরো দুইজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও এবার পাহাড় ধসে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, বান্দরবান জেলায় ১৫ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
সৈকত দাশ/এসএস/এমআরআই