অভাব ঘোচাতে সৌদিআরব গিয়ে সন্তান লাশ, মায়ের কান্না
সংসারের অভাবে ঘোচাতে সৌদিআরবে গিয়ে বাবুল মিয়া (৪২) নামে এক বাংলাদেশি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহতের খবরে বাবুলের লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে কাঁদতে কাঁদতে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন বাবুলের মা।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সৌদিআরবের দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে বাবুলের মরদেহ। সেখান থেকে দেশে মরদেহ আনতে ছয় লাখ টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। এ জন্য সরকারি ব্যবস্থায় মরদেহ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার নিহতের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, ছয় মাস ধরে বেকার থাকার পর ধারদেনা করে সৌদিআরবের দাম্মাম শহরে যান রায়পুর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের বাবুল মিয়া। সেখানে গিয়েও তিনি আড়াই মাস বেকার ছিলেন।
গত ৩০ মার্চ তিনি গাড়ি চালানোর কাজ পান। গাড়ির পেছনের চাকা অকেজো হয়ে গেলে তিনি জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করেন। ওই সময় বিপরীত থেকে আসা দ্রুতগামী একটি গাড়ির ধাক্কায় তার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবুল মারা যান।
দরিদ্র বাবুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, সরকারি ব্যবস্থায় বাবুলের মরদেহ দেশে না আনলে শেষবারের মতো স্বজনের মুখ দেখতে পারবেন না তারা। নিহত বাবুল মৃত আহ্সান উল্যার ছেলে।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আজম চৌধুরী সুমন বলেন, নিহত বাবুল দরিদ্র পরিবারের সন্তান। সরকারি ব্যবস্থায় তার মরদেহ দ্রুত দেশে আনার দাবি জানাচ্ছি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
কাজল কায়েস/এএম/জেআইএম