বরিশালে দিনভর বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ
দিনভর কখনো ভারী আবার কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে বরিশালে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে স্কুল ও কলেজ ফেরত শিক্ষার্থীদের। ভোগান্তি থেকে রেহাই পাননি অফিস-আদালত ফেরত কর্মজীবীরাও। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সড়কে গণ পরিবহনের সংখ্যাও ছিল কম।
নগরীর ব্যস্ত সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। এ সুযোগে যানবাহনের চালকেরা ভাড়াও হাকিনো শুরু করেছেন কয়েকগুণ বেশি। তাই অনেককে পাঁয়ে হেটে বৃষ্টিতে ভিজেই গন্তব্যে যেতে হয়েছে।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৯ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বরিশাল আবহাওয়া অফিস। দমকা আকারে বাতাস বয়ে গেছে সর্বোচ্চ ১০ নটিক্যাল মাইল গতিবেগে।
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ। আবহাওয়া অধিদফতর সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দুপুর ১২টার পর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় রুটগুলোর লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভাগে পড়েছে যাত্রীরা।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপন বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট লঞ্চের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। তবে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বড় লঞ্চ যথারীতি চলবে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আনিচুর রহমান জানান, পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাব এবং মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, খুলনা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এআরএ/এমআরআই