ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গরীবের মেয়ে বলে তারা আমাকে মেনে নিতে পারছেন না

প্রকাশিত: ১০:৪০ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৫

আমি গরীবের মেয়ে বলে ওরা আমাকে মেনে নিতে পারছেন না। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই গোপনে আকিবকে (স্বামী) আবার তারা বিয়ে করান। আমি এই ব্যাপারটি জানতে পেরে আমার শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা শুক্রবার রাতে আমাকে অনেক মারধর করেন। রোববার সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলছিলেন নির্যাতিতা গৃহবধূ হাবিবা আক্তার।

জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ২নং শকুনী এলাকায় গৃহবধূ হাবিবাকে তার শ্বশুর ডা. মাহাবুব রহমান সেলিম ও শাশুড়ি মাহমুদা খাতুন মহুয়া নির্যাতন করেন। তাদের নির্যাতনে হাবিবাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি এখন চিকিৎসাধীন। বিয়ের ছয় মাস যেতেই ছেলেকে আবার বিয়ে দিয়ে ওই গৃহবধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে পারিবারিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পারিবারিক, স্থানীয়, হাসপাতাল ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজির হাওলা গ্রামের আওলিয়া বাড়ির রিকশাচালক বাদল হাওলাদারের মেয়ে হাবিবা আক্তারের (১৯) সঙ্গে একই উপজেলার ২নং শকুনী এলাকার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক মাহাবুব রহমান সেলিমের ছেলে আকিবুল রহমান আকিবের (২৪) প্রেমের সর্ম্পক হয়।

হাবিবা আক্তারের মা রহিমা বেগম ওই ডাক্তারের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করার সুবাদে দুজনের মধ্যে এ প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। প্রায় ছয় মাস আগে স্থানীয়রা মিলে ওদের দুজনের বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাবিবাকে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিলেন। তালাক দেয়ার জন্য ছেলেকে চাপ দিতে থাকেন তারা।
গৃহবধূ হাবিবা আক্তার রোববার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, আকিবের বাবা-মা জোর করে ছেলেকে দিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর নেন। আমাকেও তালাকে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। আমি স্বাক্ষর দেইনি। মারধরের এক পর্যায় আমি জ্ঞান হারালে তারা আমাকে রাস্তায় ফেলে রাখেন। এসময় স্থানীয়রা আমাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করান। আমি আমার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই। আর আমার এই নির্যাতনের বিচার চাই। তারা বড়লোক, ডাক্তার। তাই আমি জানিনা এর বিচার পাবো কিনা।

গৃহবধূর মা রহিমা বেগম বলেন, নির্যাতনের বিচার চেয়ে মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমি গরীব মানুষ। কিন্তু আমাদেরও সম্মান আছে। আমরা এর বিচার চাই। তবে কতটুকু বিচার পাবো জানি না।

চিকিৎসক মাহাবুব রহমান সেলিমের সঙ্গে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওটিতে আছি। পরে কথা বলবো। হাবিবার স্বামী আকিবুল রহমান আকিবকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউল মোর্শেদ জাগো নিউজকে বলেন, লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ কে এম নাসিরুল হক/এমজেড/এমএএস/আরআইপি