ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক কমিউনিটি থাকতে হবে

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) | প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৮

১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছে। এদেরকে মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে নিতে চায় না। তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে। এর মানে এই না এরা ফিরে যাবে না। শেষ রোহিঙ্গা পর্যন্ত ফিরে যেতে হবে। এটা মিয়নমার সরকারের দায়িত্ব। মিয়ানমার যা ইচ্ছা তাই বলুক, রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক কি-না তা আমাদের জানার বিষয় নয়। আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করে হলেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তাদের ফিরিয়ে নেয়ার পর মিয়ানমার সরকার কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার।

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই মমিননগর এলাকায় অবস্থিত ফিরদাউস নাসির ট্রাস্ট চেরিটেবল হেলথ কমপ্লেক্সের ১০ বেডের ইনডোর উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কফি আনানের একটি রিপোর্টে পরিষ্কার বলা আছে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। যে পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না হবে সেই পর্যন্ত তারা ফিরে যেতে রাজি হবে না। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক কমিউনিটি থাকতে হবে। জাতিসংঘ, রেডক্রস ও আইওএমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তদারকির পর সব ঠিকঠাক থাকলে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া শুরু হবে। ফিরে গিয়ে তারা কীভাবে নাগরিকত্ব পাবে সেটা তাদের ব্যাপার।

হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শকালে উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীর ছোট ভাই আলী জওহর রিজভী, মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার আফসার উদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহারিয়ার সাজ্জাত, মির্জাপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুল হক, গোড়াই ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আদিল খান উপস্থিত ছিলেন।

১৯৯৬ সালে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে ৭৪ শতাংশ জমির ওপর বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আলী আজগর রিজভী, ব্যবসায়ী আলী জওহর রিজভী, হায়দার আলী রিজভী, ঢাকা স্টোক এক্সচেঞ্জের সাবেক সিইও মো. মোশারফ হোসেন, তার স্ত্রী মাহমুদা হোসেনসহ ২১ জন হেলথ কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠা করেন। হেলথ কমপ্লেক্সটিতে ২০১১ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। প্রথমে ২ টাকা, পর্যায়ক্রমে ৫, ১০ ও ১৫ টাকা টিকিটে রোগীদের চিকিৎসা পত্র ও বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হতো।

চলতি বছর টিকিটের মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে রোগীদের চিকিৎসাপত্র ও বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে বলে ট্রাস্টের ম্যানেজার এজাজ সিদ্দিকী জানিয়েছেন।

এমএএস/এমএস

আরও পড়ুন