৩ বিয়ে করা মঈন উদ্দিনকে খুঁজছে পুলিশ
প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে তারপর যৌতুকের টাকা না পেয়ে তৃতীয় বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী মঈন উদ্দিন। তাকে গ্রেফতারের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। এমনকি মঈন উদ্দিন যেন বিদেশ পালাতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশকে (পাসপোর্ট নং- বিএইচ ০৫৭৯৩২৮) তাকে গ্রেফতারের জন্য তথ্য পাঠানো হয়েছে।
মঈন উদ্দিন হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের ইজ্জতপুর গ্রামের মৃত আকরাম উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে মঈন উদ্দিন নবীগঞ্জ করগাঁও ইউনিয়নের সাকুয়া গ্রামের মাওলানা আশরাফ আলীর মেয়ে সাইমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২০১১ সালে সাইমা বেগমকে দুবাই নিয়ে যান প্রবাসী মঈন উদ্দিন। প্রবাসে তাদের ৩ সন্তানের জন্ম হয়।
কিন্তু ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাফেজ মঈন উদ্দিন স্ত্রী সাইমা বেগমকে নিয়ে ৩ সন্তানসহ দেশে আসেন। এ সময় সাইমা বেগমের পরিবারের কাছে যৌতুক হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। অন্যথায় তালাক দিয়ে তৃতীয় বিয়ের হুমকি দেন।
সাইমা বেগম যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা জানালে ঢাকায় তৃতীয় বিয়ে করেন মঈন উদ্দিন। এ ঘটনায় সাইমা বেগম হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করেন। আদালত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসকে দায়িত্ব দেন। পরে মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু এ খবর পেয়ে প্রতারক মঈন উদ্দিন ফের দুবাই পাড়ি জমান।
এদিকে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামি মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সম্প্রতি মঈন উদ্দিন দেশে এসে আত্মগোপনে থেকে হামিদ নগর মাদরাসা সংলগ্ন স্থানে নতুন ভবন নির্মাণ করেছেন। খবর পেয়ে বাহুবল থানা পুলিশ একাধিক অভিযান পরিচালনা করেও তাকে গ্রেফতার করতে পারিনি। শেষমেষ বাহুবল মডেল থানা পুলিশ তাকে আটকের জন্য বিমানবন্দরে রিকুয়েজিশন পাঠিয়েছে।
এফএ/আরআইপি