জনসভাস্থলকে ঘিরে চলছে মিছিল, মাইকিং
চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকালের জনসভাস্থলকে ঘিরে চলছে মিছিল-মাইকিং। সমাবেশকে ঘিরে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও আশপাশের এলাকায় শত শত মানুষের ভিড়।
প্রায় ১৭ বছর পর শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে আসছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম। তাই সমাবেশকে ঘিরে যেমন দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ, তেমনি সাধারণ জনতার মাঝেও আগ্রহের শেষ নেই।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করে। এছাড়া উপজেলার প্রবেশমুখ থেকে যতই ভেতরে যাওয়া হচ্ছে ততই বাড়ছে মাইকিংয়ের আওয়াজ। নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে জনসভাস্থল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের পোস্টার ছেয়ে গেছে। শুধু যে পটিয়া বা আশপাশের নেতাকর্মীদের ব্যানার পোস্টার লাগানো হয়েছে তা নয়। রাউজান, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানার পোস্টার ও লেগেছে রাস্তার দু’পাশ জুড়ে।
জনসমাবেশস্থলকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। পোশাকে ও পোশাক ছাড়া গোয়েন্দা বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে।
বিকেল থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন স্বেচ্ছাসেবকদের তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। এসময় আগ্রহী নেতাকর্মীদের ভিড় লেগেই ছিলো।
এদিকে সমাবেশস্থলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মঞ্চ তৈরি হয়ে গেছে সকালেই। এখন চলছে সাউন্ড সিস্টেম ও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের কাজ। মাঠে নিজে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করছেন পটিয়া আসনের এমপি শামশুল হক চৌধুরী ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের এমপি ড. আবু রেজা নদভী।
শামশুল হক চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ, এখন অপেক্ষা সমাবেশের। পটিয়ার এ জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো জনসভার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে মানুষ আসতে শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ জেলার সব সংসদ সদস্য, মন্ত্রী সার্বিক সহযোগিতা করছেন। নিজ নিজ এলাকায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিকবার জনসভার মাঠ পরিদর্শন ও মনিটরিং করেছেন। আটটি সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি মাইকিং, পোস্টার ও প্রচারপত্র বিলির মধ্য দিয়ে জনসভা সফল করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।’
পটিয়ার এ এমপি জানান, মাঠের বাইরে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কে মাইক লাগানো হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক পথে চলাচলকারী যানবাহন গাছবাড়িয়া-বরকল-আনোয়ারা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করবে। পটিয়ার উপর দিয়ে সেদিন জনসভার গাড়ি ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল করবে না।’
জনসভার আশপাশে পাবলিক টয়লেট ও পর্যাপ্ত খাওয়ার পানির ব্যবস্থা থাকবে। জরুরি চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বলেন, শামশুল হক চৌধুরী।
ড. আবু রেজা নদভী বলেন, ‘এটি শেষ সময় তাই সবাইকে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মানুষের আগ্রহ-উৎসাহ আকাশচুম্বী। পটিয়ার এ সমাবেশ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে।’
কক্সবাজার মহিলা লীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেক দূরে হলেও কক্সবাজার মহিলা লীগের শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নেবে। কক্সবাজার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ব্যাপক সমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
সন্ধ্যার পর থেকে সভামঞ্চ থেকে বাজানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। মহাসড়ক ধরে কিছুক্ষণ পর পর ট্রাকে করে চলছে ট্রাক মিছিল।
আবু আজাদ/জেএইচ/আরআইপি