ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কক্সবাজারে ৪টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবি

প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৫

বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ ও সোনাদিয়া পয়েন্টে চারটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাত ও শনিবার দুপুরে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, টেকনাফ শাপলাপুর উপকূলের বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে স্থানীয় নুরুল হকের মালিকানাধীন মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় আব্দুল মজিদ (৪০) নামে এক মাঝি-মাল্ল­া নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার দুপুরে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।

ট্রলারের মাঝি রহিমুল­াহ জানান, তিনিসহ পাঁচ মাঝি-মাল্লা সকালে মাছ ধরতে ট্রলারটি নিয়ে সাগরে যান। দুপুরে হঠাৎ প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি। এক পর্যায়ে সবাই সাগরের ডুবে যেতে থাকে। এ সময় সবাই সাঁতরিয়ে কূলে ফিরে আসতে সক্ষম হলেও আব্দুল মজিদ সাগরে হারিয়ে যায়।

শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে তৎপরতা চলছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকতার আহমদ আমীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সমুদ্রে যাবার কালে লাইফ জ্যাকেট নেয়ার বিধান রয়েছে। তা অমান্য করায় নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। মাছ ধরতে যাওয়া মাঝি-মাল্লাদের জ্যাকেটের বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অপরদিকে, বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে তিনটি মাছ ধরার বোট বিধ্বস্ত হয়েছে। একটি নিমজ্জিত বোট উদ্ধার করতে গিয়ে আরো দুইটি মাছ ধরার বোট ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সোনাদিয়ার ইমরুল হাসান রাকিব জানান, বাঁশখালী উপজেলার জনৈক শের আলী বহাদ্দারের মালিকানাধীন ৬৫ অশ্বশক্তি সম্পন্ন মাছ ধরার বোট গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরে কূলে ফেরার কালে সোনাদিয়া চ্যানেলের ব্ল্যাকের দিয়ার পয়েন্টে পৌঁছলে প্রবল বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে। ঘটনার আকস্মিকতায় মাঝি-মাল্লারা বোটের নিয়ন্ত্রণ হরিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে বোটটি ডুবোচরে আটকে গিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে একই মালিকের অপর দুইটি বোট ঘটনাস্থলে এসে আটকে পড়া বোটটিকে রশি বেঁধে নামানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় উদ্ধার করতে আসা বোট দুটিও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে তিনটি বোটই ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন বোট মালিক।

কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পেটের দায়ে জেলেরা ঝুঁকি নিয়ে সাগরে নামছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার উপকূলে ৩নং সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ এলাকায় অবস্থান নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/আরআইপি