বিকাশে ঘুষ নেয়া সেই এএসআই ক্লোজড
ইয়াবাসহ এক যুবককে আটকের পর বিকাশের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগে এএসআই আমিনুল ইসলামকে বরিশালের উজিরপুর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম এএসআই আমিনুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত হওয়ার আদেশ দেন। বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উজিরপুর সার্কেল) আকরামুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ মার্চ রাতে উপজেলার শিকারপুর এলাকা থেকে মুন্ডপাশা গ্রামের মৃত মোশারফ খানের ছেলে শামিম খানকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করেন এএসআই আমিনুল। পরে শামিমের মা রেবা বেগম থানায় গেলে রিমান্ডে নেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ও কম পরিমাণ ইয়াবা দিয়ে চালান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্গের টাকা ঘুষ দাবি করেন।
কিন্তু দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এএসআই আমিনুল ৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। এ সময় রেবার বেগমের সঙ্গে নগদ টাকা না থাকায় এএসআই আমিনুল তার একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরটি চিহ্নিত করে দেন এবং দ্রুত টাকা পাঠাতে বলেন।
পুলিশি নির্যাতনের হাত থেকে ছেলেকে রক্ষায় ১৬ মার্চ এএসআই আমিনুলের বিকাশ নম্বরে (০১৭১০-৭৮৮৯৭৫) ঘুষের ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন রেবা বেগম।
লেনদেনের পরে এএসআই আমিনুল কথা অনুযায়ী ৫০ পিস ইয়াবা পেয়েও ১১ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে শামিমকে আদালতে চালান দেন। এরপর বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।
এর প্রেক্ষিতে ১৭ মার্চ বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হাসান সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের কাছ থেকে তথ্য উদঘাটন করে ঘুষ আদায়ের সত্যতা পান।
জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠায় এএসআই আমিনুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাইফ আমীন/এএম/আরআইপি