পিকনিকে মাংস কম পাওয়ায় শিক্ষককে জুতাপেটা
নীলফামারীর ডিমলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষককে জুতাপেটা করেছেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে এখন আলোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, আকাশকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুল হক পিকনিকে কম মাংস পাওয়ার অভিযোগ তুলে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্যা) এনামুল হককে পিটিয়েছেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে এনামুল হক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
গত রোববার (১১ মার্চ) আকাশকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ভিন্নজগতে পিকনিকে যান ৬ জন শিক্ষক। সেখানে সামছুল হক খাওয়ার সময় মাংস কম পাওয়ার অভিযোগ তুলে ঘটনাস্থলে ওই শিক্ষককে জুতাপেটা করেন। এতে প্রতিবাদ করায় ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে ফের তাকে কিলঘুষি মারেন। এনামুল হক বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতি খয়রাত হোসেন ও প্রধান শিক্ষক কামিনী মোহন রায়কে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি খয়রাত হোসেন বলেন, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুল হক যে আচরণ করেছেন এর বিচার করা হবে। কমিটির জরুরি সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রধান শিক্ষক কামিনী মোহন রায় বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুল হক সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুল হক বলেন, আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যেকোনো শিক্ষককে শাসন করতে পারি। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়, সাংবাদিকদের নয়।
সহকারী শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আমি পিকনিকের দায়িত্বে ছিলাম। সামান্য মাংস কম হওয়ার কারণে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমাকে জুতা খুলে পিটিয়েছেন। পরে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের সামনে আবার কিল-ঘুষি মারেন। আমি লিখিতভাবে বিচার চেয়েছি। এর প্রতিবাদ করায় এখন বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন সামছুল হক।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থপনা কমিটিকে জরুরি ভিত্তিতে সভা করে সীদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জন্য বলা হয়েছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক নেক্কারজনক কাজ করেছেন। এর শাস্তি হওয়া দরকার।
জাহেদুল ইসলাম/এফএ/এমএস