বিমান বিধ্বস্তে আহত মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানি দেশে ফিরছেন
নেপালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে থাকা মৃতুঞ্জয়ী গাজীপুরের শ্রীপুরের মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানি দেশে ফিরবেন আগামীকাল শুক্রবার।
এদিন নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরবেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুর্ঘটনার পর নেপাল যাওয়া ফারুক হোসেন প্রিয়কের বন্ধু রফিকুল ইসলাম রাসেল।
রাসেল আরও জানায়, নেপালের চিকিৎসকের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের দেশে এনে চিকিৎসা করা হবে। মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানির শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে কিছুটা উন্নতির দিকে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন বিছানায় শুয়ে আহত এ্যানি তার সন্তান ও স্বামীর খোঁজ করছিলেন। এ্যানিকে এখনও তার স্বামী-সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ১২ মার্চ দুপুরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামের ফারুক ও মেহেদী হাসানের পারিবারের পাঁচ সদস্য ছিলেন। বিমানে থাকা দুই দম্পতির পাঁচ সদস্য হলেন, নগরহাওলা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ (৩২), তার স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি (২৫), তাদের একমাত্র সন্তান প্রেয়সী (৩) ও নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৩) ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা আক্তার (২৫)।
ফারুক পেশায় একজন ফটোগ্রাফার ও মেহেদী হাসান পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। ফারুক ও মেহেদী হাসান সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই। এদের মধ্যে নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও ফারুক আহমেদের স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি আহতবস্থায় নেপাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অপর দুই সদস্য ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও তার একমাত্র সন্তান প্রিয়ংমনী তামাররা বিমান বিধ্বস্তে মারা যান।
এমএএস/জেআইএম